রকিব মুহাম্মদ : পবিত্র রমজান মাস চলছে। সারাবিশ্বের মুসলিমরা মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুমে রোজা পালন করছেন। একজন রোজাদারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতারের সময়। ইফতারির মাধ্যমে একজন রোজাদার তার রোজা শেষ করেন। ইফতারির আইটেমের মধ্যে অন্যতম খেজুর। ইফতারির টেবিলে খেজুর থাকবে না সেটা চিন্তাই করা যায় না।
রাসুল হযরত মুহাম্মদ সা. খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করতেন নতুবা কয়েক ঢোক পানি পান করতেন। এখনো ইফতার শুরু হয় পানি বা খেজুর দিয়ে। কিন্তু রাসুল সা. হাদিস শরিফে এমন কিছু মুহুর্তের কথা উল্লেখ করেছেন, যে সময়গুলোতে খেজুর খাওয়া অনুচিত।
এ ব্যাপারে হজরত উম্মে মুনযির বিনতে কায়েস আনসারিয়্যা রাযি. থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, একদিন রাসুল সা. আমাদের বাড়িতে তাশরীফ আনলেন। তার সঙ্গে হজরত আলীও রাযি. ছিলেন। হজরত আলী রাযি. সবেমাত্র অসুখ থেকে উঠেছিলেন। আমাদের বাড়ীতে খেজুরের বাধা টানানাে ছিল। হুজুর সা. উঠে খেজুর খেতে আরম্ভ করেন।
অতঃপর হজরত আলীও রাযি. উঠে আসেন এবং খেজুর খেতে শুরু করেন। তখন হুজুর সা. তাকে বললেন, আলী! তুমি এখনাে দুর্বল। তাই তুমি খেজুর খেয়াে না। একথা শুনে হযরত আলী রাযি. খেজুর খাওয়া বন্ধ করে দেন। -মিশকাত, ইবনে মাজাহ ও তিরমিজি শরিফ
এ প্রসঙ্গে হযরত সুহাইব রাযি. কর্তৃক বর্ণিত আরেকটি হাদিস রয়েছে। তিনি বলেন, “আমি নবিজীর খেদমতে সা. হাজির হই। তার সম্মুখে তখন রুটি ও খেজুর রাখা ছিল । হুজুর সা. বললেন, কাছে এসাে, খেতে বস। আমি বসে খেজুর খেতে শুরু করি। অতঃপর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তােমার চোখে অসুখ আর তুমি এই অবস্থায় খেজুর খাবে? -যাদুল মাআদ
আমরা জানি, খেজুর অত্যন্ত শক্তিশালী ও রক্ত বর্ধক। বিভিন্ন অসুখ বিসুখে ও বিশেষ ঔষধে খেজুর ব্যবহার করা হয়। এতদসত্ত্বেও এর তাছীর ও প্রতিক্রিয়া গরম। তাই অসময়ে এবং অধিক পরিমাণে খেজুর খাওয়া ক্ষতিকর। বিশেষত যখন চোখে ব্যথা ও জ্বালা পােড়া থাকে তখন খেজুর খাওয়া থেকে বেঁচে থাকা খুবই জরুরি।
আরএম/