আওয়ার ইসলাম: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক মাদরাসাছাত্রীকে গত শুক্রবার রাতে ধর্ষণের পর হাত-পা ও মুখ বেঁধে নালায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার সকালে মাঠে কাজ করতে যাওয়া স্থানীয় কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে।
ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মেয়েটির বাবা জানান, শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশ থেকে তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় দুই যুবক। তাদের একজনকে সে চিনতে পেরেছে। তিনি বলেন, তার মেয়ে দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। রাত ৯টার দিকে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনের চার্জার আনতে যায় সে।
বাড়ি ফেরার পথে ওৎ পেতে থাকা দুই যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। রাতভর ধর্ষণের পর তাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মাঠে সেচ নালায় ফেলে যায় তারা। রাতে তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাননি। গতকাল সকালে কয়েকজন কৃষক মাঠে কাজ করতে গিয়ে মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে।
কিশোরীর বাবা বলেন, তার মেয়ে দুই যুবকের মধ্যে যাকে চিনতে পেরেছে সে হলো আল-আমিন। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী বলেন, আল-আমিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরএম/