রকিব মুহাম্মদ: রোজা রাখার মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট শারীরিক উপকারিতা। বিশেষ করে বছরে এক মাস অভুক্ত থাকলে তা স্বাস্থ্যরক্ষায় বেশ ভূমিকা রাখে। এ জন্য প্রাপ্তবয়স্ক সক্ষম মানুষের উচিত রোজা রাখার অভ্যাস করা। অনেকের ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে। তারা মনে করেন, রোজা রাখার ক্ষেত্রে এ রোগ একটি বড় বাধা।
ডায়াবেটিসে রােজা রাখা যাবে না তেমনটা নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এক্ষেত্রে রােজা রাখার পক্ষে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য রোজা যথেষ্ট উপকারী। কারণ রোজা রাখা অবস্থায় দেহে নানা ধরনের ইনসুলিন তৈরি হয়, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
রোজায় খাবারের সময়সূচি পরিবর্তনের সঙ্গে ওষুধ এবং ইনসুলিনের সময় ও মাত্রা অবশ্যই পরিবর্তিত হবে। সহজভাবে সকালের ওষুধ বা ইনসুলিন পূর্ণ মাত্রায় সন্ধ্যাবেলা ও রাতের ওষুধ বা ইনসুলিন অর্ধেক মাত্রায় শেষ রাতে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি রক্তে শর্করার পরিমাণের ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে। তাই নিজে নিজে পরিবর্তন না করে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
রক্তে শর্করাস্বল্পতার আশঙ্কা থাকলে দীর্ঘমেয়াদি সালফোনিল ইউরিয়ার পরিবর্তে স্বল্পমাত্রার অন্য ওষুধ ও সাধারণ ইনসুলিনের পরিবর্তে আধুনিক অ্যানালগ ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারেন।
ডায়াবেটিস রােগীদের অবশ্য কিছু ঝুঁকি থাকে। সেক্ষেত্রে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে রােজা শুরুর আগেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জটিলতা এড়িয়ে রােজা রাখতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রোজার দু’টি মাসয়ালা-
১. ইনসুলিন গ্রহণ করা (Insulin): ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, ইনসুলিন রোযা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালী জায়গায় প্রবেশ করে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)
২. ডায়াবেটিসের সুগার মাপা: ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুচ ঢুকিয়ে যে একফোটা রক্ত নেয়া হয়, এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
আরএম/