আওয়ার ইসলাম: ঘূর্নিঝড় ফনির জন্য আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি রুটে স্পিডবোট চালাতে গিয়ে ট্রলারের সঙ্গে সংর্ঘষে ডুবে গিয়ে স্পীডবোটের এক যাত্রী নিহত হয়েছে। এছাড়াও এক শিশু নিখোঁজ ও অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে আল আমিন নামে এক চালক কাঠালবাড়ি ঘাটে রওনা করে। স্পিডবোটটি কাঠালবাড়ি ৪নং ফেরি ঘাট এলাকায় আসলে বিপরীতমুখী ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে স্পিডবোটটি ডুবে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ যাত্রীকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে মুহাম্মদ মুরাদ (২৫) নামের এক যাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত মুরাদ ঢাকার বাড্ডায় খিলবাড়ির টেক এলাকার মুহা. ইসমাইল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও আমির হামজা (৬) নামের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ আমিরের মা, বাবা ও ভাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
নিখোঁজ আমির হামজার মামা কামরুল হোসেন বলেন, আমার বোন, জামাই ও ২ ভাগিনা নিয়ে বাড়ি আসছিল।স্পিডবোট ডুবিতে বোন জামাই ও বড় ভাগিনা গুরুতর আহত ছোট ভাগিনা নিখোঁজ রয়েছে।
এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আদনান বলেন, মুরাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার পেটের আঘাতটি গুরুতর ছিল। এছাড়া আরো ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এদিকে দূর্ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে রাতে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ৯ স্পিডবোট চালককে আটক করেছে পুলিশ।
-এএ