আওয়ার ইসলাম: ১৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। আরও ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। অতি উচ্চগতি সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, চমোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সঙ্কেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সঙ্কেতের আওতায় থাকবে।
শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাতের কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরের পর বোঝা যাবে ফণী কখন আঘাত হানবে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়াও উপকূলীয় সব জেলায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরএম/