আওয়ার ইসলাম: ভারতীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিগো এয়ারের এক পাইলটের স্ত্রীকে খুন করেছেন তারই ঋণগ্রস্ত এক অনলাইন ফ্রেন্ড। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) জুয়া খেলে ওই ব্যক্তি প্রচুর টাকা দেনার মধ্যে রয়েছেন বলে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপের মাধ্যমে ৫২ বছর বয়সী ওই পাইলটের স্ত্রী মিনুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল জয়পুরের ৫৬ বছর বয়সী দীনেশ দীক্ষিতের। মাস ছয়েক আগে তাদের পরিচয় হয়। দীনেশ মাঝেমধ্যেই জয়পুর থেকে দিল্লিতে ওই নারীর বাড়িতে যেতেন। নিজেকে ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন দীনেশ।
দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আইপিএলে জুয়া খেলে প্রচুর টাকা হেরে দেনায় জর্জরিত হয়ে যান দীনেশ। পাওনাদারদের টাকা ফেরত দিতে তিনি মিনুকে মেরে তার বাড়িতে ডাকাতির ছক আঁকেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে দীনেশ জানতে পারেন ওই পাইলটের বাড়িতে প্রচুর নগদ টাকা ও হীরার গয়না রাখা আছে। তখনই তিনি তার পরিকল্পনাকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার ছক কষেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে দীনেশ জানান, গত বৃহস্পতিবার ভুয়া নম্বর প্লেট বসানো একটি গাড়িতে তিনি দিল্লি আসেন। জয়পুরেই নিজের ফোন বন্ধ করে নতুন একটি ফোন ব্যবহার শুরু করেন তিনি। ওই পাইলটের বাসায় ঢুকতে গেটে যাতে নেভাল অফিসার বাধা দিতে না পারেন, সে জন্য মিনুকে ফোন করেন দীনেশ। ওই নারীর নির্দেশে তাকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন নিরাপত্তা রক্ষী।
সন্ধ্যায় তারা দুজন গাড়িতে চড়ে স্থানীয় বাজারে যান। স্ন্যাক্সস কিনে ফিরে আসেন। সেই ফুটেজ ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামরোয়। মাঝরাতে মিনুকে মাদক খাইয়ে টাকা ও গয়না বের করার চেষ্টা করেন দীনেশ। মিনু বাধা দিলে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেন তিনি। এরপর সারা রাত ওই বাড়িতেই ছিলেন দীনেশ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, দীনেশ ভোর সাড়ে ৫টায় ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে যান নগদ ৫০ লাখ টাকা, গয়নাগাটি, দুটি মুঠোফোন। সকালে মিনুর বাবা প্রথম মৃতদেহ দেখতে পান।
সূত্র: এই সময়/আরএম