আওয়ার ইসলাম: হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে কন্ট্রোল ডিমোলেশন বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতি ব্যবহারের প্রস্তাব কোনও প্রতিষ্ঠান দেয়নি। ফলে দেশীয় পদ্ধতিতেই ভাঙা হচ্ছে ভবনটি।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প বাস্তবায়ন) ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দরপত্র পেয়েছি। তাদের অভিজ্ঞতা সনদপত্র যাচাই-বাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে সিগন্যাল পেলে নিয়ম অনুযায়ী কার্যাদেশ দেওয়া হবে। কার্যাদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পুরো ভবনটি ভেঙে মালামাল সরিয়ে নিতে হবে।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজউক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ভবন ভাঙার কাজে পারদর্শী আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হবে। ভবনটি ভেঙে তিন মাসের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। এ জন্য কোনও অর্থ দেবে না রাজউক। যারা ভবন ভাঙবে, তারাই মালামাল ক্রয়ের দরপত্র দাখিল করতে পারবে। ভবন ভাঙার সময় যদি কোনও ব্যক্তি আঘাত পান বা নিহত হন, সে দায়ভার রাজউক নেবে না।
এদিকে, ঢাকার উত্তরায় ১১০ কাঠা জমির ওপর ১৩ তলা নতুন ভবন তৈরি করছে বিজিএমইএ। সম্প্রতি ভবনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
-এএ