আওয়ার ইসলাম: দেশে আইনের শাসন না থাকায় মানুষ কোথাও নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিক্রম হলেও দেশে আইনের শাসন না থাকায় মানুষ কোথাও নিরাপদ নয়। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ মহামারি আকার রূপ নিয়েছে। সড়ক, বাসা-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোথাও মানুুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই।
রোববার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শ্রমিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, দেশের মানুষ কোথাও নিজেদেরকে নিরাপদ মনে করে না। এর কারণ রাষ্ট্র, সমাজ আজ কলুষিত। শ্রমিকরা কলে কারখানায় সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাহাকার করছে। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের মানব কল্যাণে কাজ করতে হবে। বসবাস উপযোগী একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়, অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়। দুর্নীতি, দু:শাাসন ও ক্ষমতাসীনদের অপরাজনীতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবিভাবকরা নিরাপদ মনে করে না। সব মিলিয়ে দেশে এখন নীতি নৈতিকতা,আস্থা-বিশ্বাস, ভক্তি-শ্রদ্ধা, মায়া-মমতা, মানুষের প্রতি মানুষের মুহাব্বত ও দীন ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়ায় দেশে প্রতিদিন নতুন করে সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সকল সঙ্কট থেকে দেশকে রক্ষাে এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কুরআন-সুন্নাহর শাসন কায়েম করতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
সংগঠনের নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি ডা. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী হাফেজ শাহাদাত হুসাইন প্রধানিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন যুব আন্দোলনের সভাপতি মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, ডা. আল আমিন এহসান, আব্দুল্লাহ বাবুল, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি, মুফতী ছিদ্দিকুর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং হাফেজ শাহাদাত হুসাইন প্রধানিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
এমএম/