আওয়ার ইসলাম: সম্মিলিত কওমি মাদরসা শিক্ষা বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ চলমান দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল) পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ ইসমাইল স্বাক্ষরিত রুটিন অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা ৩০ পর্যন্ত, পরবর্তীতে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগামী ২ মে (বৃহস্পতিবার) ও ৩ মে (শুক্রবার) সকাল ৮:০০ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে।
১ মে (বুধবার) সকালে আবু দাউদ এবং ২ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ত্বহাবী শরিফের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাকি অন্যদিন আগের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দাওরা হাদিসের পরীক্ষায়ও কেরাত পরীক্ষা সংযুক্ত হবে। কেরাত পরীক্ষা প্রধান নেগরানের ঘোষণা অনুযায়ী যে কোন দিন নেয়া হবে। তবে যারা কেরাত পরীক্ষা দিয়েছে তাদের পরীক্ষা দিতে হবে না।
প্রসঙ্গত, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল হাইয়াতুল উলইয়া এর অধীনে চলমান দাওরায়ে হাদীসের (তাকমিল) আবু দাউদ শরিফের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
পরীক্ষা স্থগিত ও প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় (২৫ এপ্রিল) মাগরিবের পরে জরুরি বৈঠক করেছেন কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ অথরিটি ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় হাইয়া কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্তগুলো হলো, শুক্রবারের (২৬ এপ্রিল) পরীক্ষা হবে না। শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে আগের রুটিনে যথানিয়মে পরীক্ষা চলবে। আবু দাউদ শরীফের পরীক্ষা ১ মে অনুষ্ঠিত হবে। ত্বহাবী শরীফের পরীক্ষা ২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। ৩ মে পরীক্ষা শেষ হবে।
এর আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় সম্মিলিত কওমি মাদরাসা শিক্ষা বিষয়ক সংস্থা ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ চলমান দাওরায়ে হাদীস (তাকমিল) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর গত ২৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে পুনরায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে ‘কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ পাস করার পর প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল ২০১৭ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি শিক্ষা সনদের মান ঘোষণা করার পর হাইআতুল উলয়ার অধীনে ৬ বোর্ডের সম্মিলিত দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা ইতোপূর্বেও দুইবার (১৬-১৭ ও ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরএম/