শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

শবে বরাতেও যাদের দোয়া কবুল হবে না: মাওলানা তারিক জামিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা তারিক জামিল 
মুসলিম স্কলার ও দাঈ

শবে বরাতের রাতে ফেরেশতারা সারাবছর যা কিছু হবে সব ঘোষণা করতে থাকে। কোথায় যুদ্ধ হবে, কোথায় শান্তি থাকবে, কোথায় বৃষ্টি হবে, কোথায় শুকনো থাকবে, কতজন মারা যাবে, কতজন জন্মগ্রহণ করবে, কোন ব্যক্তির রিজিক কোথায় রয়েছে, কার সম্মান বৃদ্ধি পাবে, কার বদনাম হবে - ফেরেশতারা সবকিছু এ রাতে এলান করে দেন।

এক ব্যক্তির নাম মৃতের খাতায় লেখা হয়েছে। ফেরেশতারা এলান করে দিয়েছে। এরপর ফেরেশতারা তার দিকে দৃষ্টি রাখতে থাকে। সে যখন বদমায়েশি করে তখন ফেরেশতারা বলে, দেখো! ওর নাম মৃতের খাতায় লেখা রয়েছে। আর সে কিনা নাফরমানি করতেছে!

আল্লাহর কাছে পাঁচটি দামী রাতের অন্যতম হলো ১৫ শাবানের রাত বা  “লাইলাতিন নিছফি মিন শা’বান”। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা উম্মতকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন।

রাসুলে আরাবী সা. বলেছেন, এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বনী কালব গোত্রের বকরীর গায়ে যে পরিমাণ পশম থাকে সে পরিমান মানুষকে মুক্তি দান করেন। এখানে বনী কালব একটি উধাহারণ মাত্র, অর্থাৎ এ কথা দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহ তায়ালা অগনিত মানুষকে নাজাত দেবেন।

তবে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমার ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও এ রাতে সাত শ্রেণির মানুষের মুক্তি নেই। তারা হলো-

১. মুশরিক, ২. মদ পানকারী, ৩. পিতা-মাতার অবাধ্যতাকারী, ৪. হাসাদ বা হিংসা পোষণকারী, ৫. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী, ৬. যিনাকারী, ৭. অহংকারী

এ রাতের নিষিদ্ধ কাজ : আমাদের সমাজে দেখা যায় এ রাতে অনেকেই রাত জেগে সম্মিলিতভাবে দলবেঁধে ইবাদাত করে। মসজিদে লাইট জালানো হয়, আলো ঝলমল পরিবেশ তৈরি করা হয়। এ সব আমলের কোনো ভিত্তি ইসলামে নেই। এ রাত নফল ইবাদাতের রাত। যতবেশি পারা যাবে নফল ইবাদাত করতে হবে। আর এ রাতের সর্বোত্তম ইবাদাত হলো, তাওবা করা ও দোয়া করা।

(উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন মোস্তফা ওয়াদুদ)

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ