শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


খাঁটি ও ভেজাল মধু চেনার সহজ উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মানব দেহে মধুর উপকারীতা সবারই কম বেশি জানা আছে। তাই নানা প্রয়োজনে একটুখানি খাঁটি মধুর খোঁজ অনেকেরই করতে হয়। সব মধুর চেহারা একই রকম হওয়ায় বোঝা দায় কোনটি আসল, কোনটি নকল। খাঁটি ও ভেজাল মধু চেনার উপায় জানতে হলে আপনার কিছু কৌশল জানা থাকলে, এক মিনিটেই চিনে নিতে পারবেন আসল মধুটি।

খাঁটি মধু চেনার ৫ উপায়-

১. বুড়ো আঙুলের পরীক্ষা: সামান্য মধু নিন বুড়ো আঙুলে। দেখুন, এটি অন্যান্য তরলের মতো ছড়িয়ে পড়ে কি না। মধু খাঁটি না হলে তা অন্য তরলের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু আসল মধু ঘন হয়ে আটকে থাকবে। সহজে ছড়াবে না। আবার একটু বেশি পরিমাণ মধু নিয়ে বুড়ো আঙুল উল্টো করে ধরে রাখলে তা সহজে ফোঁটা আকারে পড়বে না।

২. পানির পরীক্ষা: এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু নিন। ভেজাল মধু শিগগিরই মিশে যাবে পানির সঙ্গে। কিন্তু আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে পানিতে। বিশেষ করে সামান্য অংশ তলানিতে পড়ে থাকবে। কিন্তু বাজে মানের মধু একেবারে হাওয়া হয়ে যাবে।

৩. আগুনের পরীক্ষা: হয়তো এ পদ্ধতির কথা এর আগে শোনেননি। খাঁটি মধু কিন্তু দাহ্য পদার্থ। তবে মধুতে আগুন জ্বালানোর আগে সাবধান থাকবেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিপূর্ণ করতে হবে। তবে পরীক্ষা অতি সাধারণ। ম্যাচের একটা কাঠি মধুতে চুবিয়ে নিন। এবার এই কাঠি জ্বালাতে ম্যাচবক্সে আঘাত করুন। জ্বলে উঠলে মধু নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর মধুতে ভেজাল থাকলে আগুন জ্বলবে না।

৪. ভিনেগারের পরীক্ষা: এক টেবিল চামচ মধু, সামান্য পানি আর সেই মিশ্রণে দুই-তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি এই মিশ্রণ ফোমের মতো ফেনিল হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে মধুতে অন্য কিছু মেশানো রয়েছে।

৫. তাপমাত্রার পরীক্ষা: খাঁটি মধুতে তাপ দিলে তা খুব দ্রুত কেরামেলের মতো হয়ে যাবে। এটা ফোমের মতো ফেনিল হবে না। কিন্তু ভেজাল মধু কেরামেলের মতো ফেটে ফেটে যাবে না। এতে কেবল বুদবুদ উঠবে।

কিছু উপায় আছে যা ভেজাল মধু চেনাতে সাহায্য করবে।

১. মধুতে কখনও কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়।

২.  মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না।

৩. বেশ কিছুদিন ঘরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমতেই পারে। কিন্তু যদি বয়ামসহ মধু গরম পানিতে কিছুক্ষণ রেখে দেখুন, এই চিনি গলে মধু আবার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু নকল মধুর ক্ষেত্রে এটা হবে না।

৪. গ্লাসে বা বাটিতে খানিকটা পানি নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু পানির সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তাহলে বুঝবেন যে এটা অবশ্যই নকল। আসল মধুর ঘনত্ব পানির চাইতে অনেক বেশি, তাই তা সহজে মিশবে না। এমনকি নাড়া না দিলেও মধু পানিতে মিশবে না।

৫. একটি মোমবাতি নিয়ে সেটির সলতেটি ভালভাবে মধুতে ডুবিয়ে নিন। এবার আগুন দিয়ে জ্বালাবার চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি। আর যদি না জ্বলে, বুঝবেন যে মধুতে পানি মেশানো আছে।

৬. এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।

৭.  এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখান। আধ ঘণ্টা রাখুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ থেকে যায়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।

৮.  শীতের দিনে বা ঠাণ্ডায় যদি দানা না বাঁধে তাহলে সেটি খাঁটি মধু না। খাঁটি মধু ঠাণ্ডায় জমাট বেঁধে যায়।

৯ . পিঁপড়া যদি মধুর ধারে কাছে না ঘেসে তবে তা খাঁটি মধু। আর পিঁপড়া যদি তা পছন্দ করে তবে মধুতে ভেজাল আছে।

আরএম/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ