আমিন ইকবাল
ঘড়ির কাঁটা সকাল সাতটা ছুঁই ছুঁই। পূবাকাশে নবাগত সূর্যের উঁকিঝুঁকি। একঝাঁক তরুণ আলেম লেখক-সাংবাদিক দাঁড়িয়ে আছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পশ্চিম পাশের গলিতে। তাদের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক, মন-হৃদয়ে উৎসাহের ছাপ।
দিনটি ছিল শনিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০১৯। নির্ধারিত স্থানে ‘স্বাধীন’ পরিবহনের তিনটি বাস দাঁড়িয়ে আছে। ঝকঝকে বাসের সামনে সাঁটানো হলো ব্যানার। সেখানে বড় করে লেখা- ‘সাহিত্য ও আনন্দ ভ্রমণ ২০১৯’।
তরুণ লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের আয়োজনে প্রতি বছরের মতো এবারও একদিনের বাঁধভাঙা আনন্দে হারিয়ে যেতে প্রস্তুত দেড় শতাধিক লেখক-কবি-সাংবাদিক।
গাড়িতে উঠার আগেই নিবন্ধিত লেখকদের ব্যাজ বা ডেলিগেট কার্ড পরিয়ে দিলেন দায়িত্বশীলরা। সঙ্গে কাঁচা গোলাপ ও রজনীগন্ধা ফুলের শুভেচ্ছা। সাত-সকালে তাজা ফুলের উষ্ণ অভ্যর্থনায় বিমোহিত সবাই। ঠিক আটটায় গাড়ি চলতে শুরু করল।
গন্তব্য গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। পথে মহাখালী ও টঙ্গী থেকেও উঠলেন অনেকেই। তিনটি গাড়িতে দেড় শতাধিক নবীন-প্রবীণ লেখকের বহর। বেশ আনন্দ-উৎসাহে এগিয়ে চলছে গাড়ি। টঙ্গী পেরুনোর পরই শুরু হয় ভ্রমণের আনুষ্ঠানিকতা।
ইতোমধ্যে অবশ্য সকালের নাস্তাপর্ব সেরে নেয় সবাই। নাস্তায় ছিল- পরোটা, হালুয়া ও সিদ্ধ ডিম। সঙ্গে বোতলজাত ফ্রেস পানি।
নাস্তা শেষে সবার হাতে তুলে দেয়া হয় অনুষ্ঠান সূচি। শুরুতেই ‘সাধারণ জ্ঞান’ প্রতিযোগিতা। সবাইকে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ‘ফোরাম কমিটিকে জানি’ শিরোনামে সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় প্রশ্ন ২০টি। ফোরামের নির্বাহী সদস্য ছাড়া সবার অংশগ্রহণের সুযোগ। গাড়ি থেকে নামার আগেই জমা দিতে হবে উত্তরপত্র।
মজার ব্যাপার হলো- পারস্পরিক কথাবার্তা বলে দেয়া যাবে উত্তর! ফলে যাত্রার পুরো সময়টা আলাপে-আলোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। কে কার থেকে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে- এই তৎপরতায় ব্যস্ত সবাই। এতে গাজীপুর চৌরাস্তার দীর্ঘ যানজটও টের পাননি অনেকেই।
সাফারি পার্কে পৌঁছতে পৌঁছতে বেজে যায় প্রায় এগারোটা। গাড়ি থেকে নেমে প্রথমে ভাড়া করা রিসোর্টে হাজির হন সবাই। নির্ধারিত রুমে সামানপত্র রেখে একত্রে জড়ো হয়ে বসেন লেখকরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মুফতি এনায়েতুল্লাহ ও বর্তমান সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেন। সঙ্গে সবাইকে দেওয়া হয় ‘র্যাফেল ড্র’র কুপন। ‘কুপনটিতে ১৬টি পুরস্কার রয়েছে’ ঘোষণা দিয়ে বলা হয়- শেষ পর্যন্ত যেন এটি সংরক্ষণ করা হয়।
রিসোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লেখকরা প্রবেশ করেন সাফারি পার্কের মূল অংশে। প্রধান গেইট ও বিভিন্ন রাইডের লোকদের সঙ্গে আগেই কথা বলা ছিল। ফলে, টিকিট কাটার ঝামেলা পোহাতে হয়নি ডেলিগেটদের। তবে, নিয়ম মেনে লাইন ধরেই প্রবেশ করেন সবাই।
প্রথমে ‘কোর সাফারি’ ঘুরে দেখা হলো। পার্কের নির্দিষ্ট মিনিবাসে করে লেখক-কবিরা ঘুরে বেড়ালেন বাঘ-সিংহের রাজ্যে। হিংস্র প্রাণীরা নিজের মতো করে বনে ঘোরাফেরা করছে আর আমরা বাসের ভেতর বন্দী হয়ে তাদের নাগের ডগা দিয়ে চলে যাচ্ছি- এ এক অন্যরকম অনুভূতি!
সেখান থেকে বেরিয়ে হাতের ডান পাশে খানিকটা এগিয়ে পাখিশালা। পাখির খাঁচায় ঢুকে দেখা হলো হরেক রকম পাখি। কেউ কেউ পাখি হাতে নিলেন। কারও কারও কাঁধে এসে বসল ‘পোষা’ পাখি। পাখির কিচিরমিছির শব্দ আর মনভোলানো বুলি সবাইকে কেবল মুগ্ধই করেনি, করেছে বিস্মিতও।
তারপর সবাই গেলেন মাছের জাদুঘরে। বিশাল বিশাল অ্যাকুরিয়ামে শত প্রজাতির মাছ। দেখে চোখ শীতল হয়ে আসে। তারপর একে একে প্রজাপতির রাজ্য, লেকের পানিতে সোনালি মাঝের ঝাঁক, সাপের আখড়া, কুমিরের জলডুব- সবই দেখলেন লেখকরা। হাতে সময় কম থাকায় সাফারির বিশাল জঙ্গলে না ঢুকে বেরিয়ে গেলেন অনেকে।
কারণ, মূল আনন্দ যে রিসোর্টে অপেক্ষা করছে! খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে সেখানে। বিশেষ করে শরীর চর্চামূলক খেলা- ক্রিকেট-ফুটবলেই যেন আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। আনন্দ যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে সবাইকে!
রিসোর্টে সবার জন্য টক বরইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। গরমে ঘোরাঘুরি শেষে বরই খেতে বেশ স্বাদ লাগছিল। বরই খেতে খেতেই সাউন্ডবক্সে ঘোষণা এলো- কারা ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছুক, আর কারা ফুটবল খেলতে ইচ্ছুক। তৈরি হয়ে গেল চার টিম। দুটি ক্রিকেটের, দুটি ফুটবলের।
তবে, প্রতি টিমে ১১ জনের জায়গায় নাম লেখাল ১৮ থেকে ২০ জন। সবাইতো খেলতে চায়; কাকে রেখে- কে খেলবে! তাই লোক সংখ্যা এতো বেশি!
গাড়ি পার্কিয়ের বিশাল মাঠে শুরু হলো খেলা। একপাশে ক্রিকেট, অন্যপাশে ফুটবল। খেলায় নবীন প্রবীণ- নির্বিশেষে অংশ নিলেন। বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াসে মেতে উঠলেন। সবাই যেন কৈশোরে ফিরে গেলেন!
সেই ছোট্ট বালকটির মতোই হেসে খেলে মেতে উঠলেন ক্ষাণিকটা সময়। ৩০/৪০ মিনিটের মতো খেলা হলো। এরই মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! দুই টিম জয়ী হলো। বিজয়ী দলের অধিনায়কদের হাতে তুলে দেওয়া হলো পুরস্কারের বিশাল বক্স।
ক্রিকেট খেলার অধিনায়ক ছিলাম আমি। আমার হাতে পুরস্কারের বক্স আসতেই ছুঁ-মেরে নিয়ে গেল কেউ। অতঃপর সবাই মিলে কাড়াকাড়ি। বক্সে ছিল গাজর, অন্যটিতে খিরা। তাই এতো কাড়াকাড়ি! সবাই ভাগাভাগি করে খেলেন। এতে আনন্দ যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেল!
তারপর শুরু হলো ‘চেয়ার খেলা’। সে কী আনন্দ! বিশজন প্রতিযোগীর মধ্যে কে হবে সেরা! হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে তিনজন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন। তারা হলেন- হারুনুর রশীদ ভূইয়া, আনোয়ার মাহমুদ ও সাইফুল ইসলাম। চেয়ার খেলা শেষ না হতেই বল নিক্ষেপের ডাক পড়ে গেল। নাম লেখালেন আরও বিশজন। কিন্তু এরই মধ্যে জোহরের নামাজের সময় হয়ে যাওয়ায় নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি।
নামাজের পর পরিবেশন করা হলো খাবার। মিনিকেট চালের সাদা ভাত, চাইনিজ সবজি ও গরুর রেজালা। দারুণ সুস্বাদু খাবার। সঙ্গে মোগডাল তো ছিলই। যারা গরু খেতে পারেন না, তাদের জন্য ছিল মুরগির ইয়া বড় বড় পিস!
খাওয়া শেষে ফের প্রতিযোগিতা। বল নিক্ষেপে নতুন করে আরও বিশজন নাম লেখালেন। চল্লিশজন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হলো খেলা। নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে রাখা একটি খালি ঝুড়িতে টেনিস বল ফেলতে হবে। প্রত্যেকে একবার করে সুযোগ পাবে।
অনেকেই ভাবছিল- এটা কোনো ব্যাপার হলো! আমি মারলেই ঝুড়িতে পড়বে বল। কিন্তু না, অংশগ্রহণকারীদের অনেকেরই হাতের নিশানা ঠিক নেই! চল্লিশজনের মধ্যে মাত্র তিনজন ঠিকঠাকভাবে ঝুড়িতে বল ফেলতে পেরেছেন। বাকি অনেকে ঝুড়ি ছুঁয়াতে পারলেও ভেতরে ফেলতে পারেননি।
যে তিনজন পেরেছেন, তারা ফের তিনবার করে নিপেক্ষ করার সুযোগ পেলেন। তখন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ হলো। এই খেলায় পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- জামিল মাহমুদ, নাছিব মাহদী ও আল আমিন মুহাম্মাদ।
তারপর মজার খেলা ‘বিস্কুট দৌড়’। সুঁতোয় বিস্কুট বেঁধে লম্বার রশিতে ঝুলিয়ে রাখা হলো। সেই রশি দু’পাশ থেকে দুজন নাড়তে লাগলেন। প্রতিযোগীরা দৌড়ে এসে পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় মুখ দিয়ে বিস্কুট নিতে হবে। এই কাজটা যারা আগে করতে পারবেন- পর্যায়ক্রমে তারাই হবে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়।
দেখা গেল দীর্ঘ তিন/চার মিনিট বানরের মতো লাফিয়েও কেউই মুখে ঢোকাতে পারছিলেন না বিস্কুট! দর্শককে ব্যাপক আনন্দ দিয়ে সবশেষে বিজয়ী হলেন- শুয়াইব, বুরহানুদ্দিন জারিফ ও মুনতাসির বিল্লাহ।
সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পরবর্তী আয়োজন মঞ্চপর্ব। শুরুতেই ‘যেমন খুশি তেমন বলা’। এপর্বে দশজন প্রতিযোগী অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। সিরিয়াল অনুযায়ী মঞ্চ থেকে একটি কাগজ তোলেন তারা। যার ভাগ্যে যা ছিল- তেমন করেই আনন্দ বিলায় সবাই।
কেউ হকারি, কেউ নির্বাচনী বক্তব্য, কেউ বিক্ষোভ কেউ-বা আবার নতুন বউয়ের কান্নার অভিনয় করে ব্যাপক বিনোদন উপহার দেন। এতে সেরা হন- তামীম হুসাইন শাওন, খন্দকার তাশফিন ও লুৎফুর রহমান রিফাত।
তারপর দর্শক পর্ব। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আনন্দের পর্ব। ওই যে শুরুতে সবাইকে ‘র্যাফেল ড্র’র কুপন দেওয়া হয়েছিল; সেই কুপনে লটারি নম্বরের সঙ্গে কয়েকটিতে সাংকেতিক চিহ্নও ছিল। যাদের কুপনে ‘লেখক ফোরাম’ শব্দের আলাদা আলাদা অক্ষর লেখা ছিল তাদের ডাকা হলো মঞ্চে। দর্শক পর্বের প্রতিযোগী এই ছয়জনই।
দুই অংশে সাজানো এ পর্ব। প্রথমাংশে সবাইকে একটি করে ধাঁধামূলক প্রশ্ন করা হলো। যারা সঠিক উত্তর দিতে পারলেন- তাদেরকে নিয়ে শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে ‘টোকেন’ তুলে অভিনয় করলেন তারা।
একজনের টোকেনে লেখা ছিল- ‘আপনি আমাদেরকে বিরক্ত করবেন। বিরক্ত হয়ে আপনার থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া পর্যন্ত বিরক্ত করতে থাকুন।’ অন্যজনের টোকেনে ছিল- ‘আপনি নিজের সম্পর্কে এক মিনিট মিথ্যা বলবেন। যতটা দ্রুত বলবেন ততই নম্বর। ধীরে ধীরে বললে এবং সত্য বললে নম্বর মাইনাস!’
তৃতীয়জনেরটায় ছিল- ‘আপনি অভিমান করবেন। যে-কোনো বিষয় নিয়ে অভিমান করতে পারেন। দর্শকরা আপনার অভিমান ভাঙাতে চাইলেও পুরস্কার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত অভিমান ধরে রাখুন।’
প্রতিযোগীরা অভিজ্ঞতায় নতুন হলেও সেদিন তাদের দারুণ অভিনয় দেখে হাসি-আনন্দে ফেটে পড়েন উপস্থিত লেখক-কবিরা। এই পর্বে বিজয়ী হন- ইমরান নকীব, নাইমুল ইসলাম ও জামিল সিদ্দিকী। এছাড়াও সান্ত¡না পুরস্কার পান- হাসান আল মাহমুদ, জাবের কাসেমী ও ইখলাস আল ফাহিম।
সবশেষে শুরু হয় ‘র্যাফেল ড্র’। শিশুদের হাতে তোলা হয় কুপন। সবাই তখন নিজেদের হাতে থাকা কুপন নিয়েঅধীর অপেক্ষায়- কখন আমারটা মিলবে! একে একে তোলা হলো দশটি কুপন। কারও মিলে গেল, কারও অল্পের জন্য আক্ষেপ তৈরি হলো। আবার কাউকে কাউকে বলতে শোনা গেল- ‘আমার কপালই ভালো না।
এসব ড্র ট্র কখনই লাগে না আমার! ‘র্যাফেল ড্র’র ভাগ্যবান দশজন হলেন- মানযুর রহমান, আতাউর রহমান খান, জুবায়ের গণি, তাজুল ইসলাম জালালী, এইচ.এম. কাউছার বাঙ্গালী, শাহিদ হাতিমী, আল আমিন, আব্দুল্লাহ আদনান, হাবিবুর রহমান খান ও কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক।
তাছাড়া উপস্থিত ছড়া লেখা প্রতিযোগিতায় বিজীয় হন- নকীব মাহমুদ, সায়ীদ উসমান ও জিসান মেহবুব। আর গাড়িতে অনুষ্ঠিত সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দশজন হলেন, শাহিদ হাতিমী, ইলয়াস হুসাইন, আল আমিন মামুন, বুরহানুদ্দিন জারিফ, আহমদুল হক, নাছিব মাহদী, মুমিনুল হক, ইলিয়াস হাসান, রায়হান রাশেদ ও শাহ মাকসুদ।
প্রতিযোগিতাপর্ব শেষে অতিথিবৃন্দ বক্তব্য দেন। অতিথিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- কবি মহিউদ্দীন আকবর, ড. গোলাম রব্বানী, ড. ইমতিয়াজ বিন মাহতাব, মাওলানা হাবিবুর রহমান মিসবাহ, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, হুমায়ুন আইয়ুব, মাওলানা মাসরুর হাসান, মুফতি সালমান আহমদ, ফজলুল হক, মাওলানা আমিমুল ইহসান, আল আমিন মামুন ও সাইফুল্লাহ আল জাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ফোরাম সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর। পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক মুনীরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিন ইকবাল।
সহযোগিতায় ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ তাসনীম, দফতর সম্পাদক ওমর ফারুক মজুমদারসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যরা।
সবশেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হলো। উপহার হিসেবে উপস্থিত সবাইকে দেওয়া হয় কাঠের তৈরি ক্যালেন্ডার সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন কলমদানি।
মাগরিবের নামাজের পর লেখক-কবি-সাংবাদিকরা গাড়িতে উঠে বসেন। সারাদিনের ক্লান্তি তখন ভর করে শরীরে। নির্ধারিত সিটে গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পড়েন কেউ কেউ। গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে গাড়ি উঠে এলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে।
পরিবেশন করা হয় বৈকালিক নাস্তা আপেল ও চকলেট। কেউ এগুলো মুখে পুড়লেন, কেউ ঢোকালেন পকেটে। গাড়ি চলতে চলতে টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, বিমানবন্দর, মহাখালী হয়ে পল্টন এসে থামল। সবাই যার যার সুবিধা মতো জায়গায় নেমে পড়লেন। এভাবেই সমাপ্ত হলো লেখকদের আনন্দে হারিয়ে যাওয়ার একটি দিন।
লেখক : সহ-সম্পাদক, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ
সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম