রোকন রাইয়ান ।।
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজাই চূড়ান্ত প্রার্থী। তার বিপক্ষে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছেন মোট ১২ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি আল মারকাজুল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মুফতি শহিদুল ইসলাম।
মুফতি শহিদুল ইসলাম বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এর আগে তিনি চার দলীয় জোটের হয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে উপ নির্বাচনে জয়ী হন।
নড়াইল ২ থেকে বিএনপির আরও দুজন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, ২০-দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব শরীফ কাশাফুদ্দোজা।
এ দুজন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের প্রার্থী। তবে নির্বাচন অভিজ্ঞতায় এখনো আনকোড়া। দল হিসেবেও এ দুটি পরিচিত নয়। তাই আসনটি থেকে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মুফতি শহিদুল ইসলামই চূড়ান্ত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মুফতি শহীদুল ইসলাম ২০০১ সালের নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৪ হাজার ২৩৩ ভোটে হেরে যান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে মুফতি শহিদুল ইসলাম সাংসদ নির্বাচিত হন।
মুফতি শহিদুল ইসলাম ২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আবদুর রহমান মুফতি শহিদুল ইসলামের বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহা ইসলামও।
মুফতি শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাইরে রয়েছেন। গত আগস্টে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। কোনো কারণে তিনি বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হলে তার ছেলে আসনটি থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামানও আসনটি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে তিনি জোট নেতাদের দিকেই তাকিয়ে আছেন। বলেছেন, দল যাকে মনোনয় দেয় তিনিই চূড়ান্ত হবেন।
মাশরাফির বিষয়ে তিনি বলেন, মাশরাফি দেশের সম্পদ। সবাই পছন্দ করে। কিন্তু খেলার মাঠ আর ভোটের মাঠ এক নয়। এখানে ইলেকশন হবে নৌকার সঙ্গে ধানের শীষের। আমি মনে করি, যদি মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়, তবে ধানের শীষ ওই আসনে জিতবে ইনশাআল্লাহ।
নড়াইলের এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আরও কয়েকজন প্রার্থী।
তারা হলেন, ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএম নাছির উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, জাসদের (রব) ফকির শওকত আলী, এনপিপির জেলা সভাপতি মনিরুল ইসলাম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই আসনে আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন মনির হোসাইন, শেখ জামাল উদ্দিন।
জামাই শ্বশুর দ্বন্দ্ব, আলোচনায় মাওলানা হাসানাত আমিনী
আরআর