কৌশিক পানাহী: কেবল বেশি খেলেই মেদ বাড়ে না; মেদ বাড়ে বেশি শুনলেও! ‘বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ’-এর একদল গবেষক বলছেন, সহনশীল মাত্রার বেশি শব্দে মেদ বাড়ে, একইসঙ্গে বাড়ে নিদ্রাহীনতাও।
‘এনভায়োরনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামক বিজ্ঞান পত্রিকায় সম্প্রতি এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত শব্দ থেকে বৃদ্ধি পায় ওজন। পরীক্ষার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক কয়েক জন পুরুষ ও মহিলার উচ্চতা, ওজন, বিএমআই মেপে তাদের এমন জায়গায় রাখা হয়, যেখানে যানবাহনের কোলাহল খুব বেশি।
গবেষক মারিয়া ফোরাস্টার জানিয়েছেন, কয়েক মাস পরে দেখা যায়, অতিরিক্ত ট্রাফিকের শব্দ যারা শুনেছেন তাদের ওজন অনেক বেশি বেড়েছে। শব্দমাত্রা ১০ ডেসিবেলের চেয়ে বেশি হলেই বিএমআই বাড়ে প্রায় ১৭ শতাংশ।
মারিয়ার ভাষ্য, গবেষণায় দেখা গেছে রেল ও বিমানসহ যে কোনও যানবাহনের শব্দই ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, অতিরিক্ত শব্দের কারণে মানুষের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। ঘন ঘন কম ঘুমের কারণে হাই-ক্যালোরি খাবারের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়৷ যার হাত ধরে বাড়ে ওজন৷
এর আগে আমেরিকার একদল গবেষক বলেছিলেন, কম ঘুমালে চর্বি ও কার্বো-হাইড্রেট সমৃদ্ধ হাই-ক্যালোরি খাবার খাওয়ার চাহিদা বাড়ে। অন্যদিকে, কম ঘুমের কারণে শারীরিক–মানসিক চাপ বেড়ে ক্ষরিত হয় স্ট্রেস হরমোন কর্টিজোল৷ ক্যালোরি খরচ কমে যায়৷
ওজন বাড়ার এও অন্যতম কারণ৷ মাত্র ৪ দিন কম ঘুমোলেই ইনসুলিনের কার্যকারিতা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়৷ ফলে ডায়াবিটিস ও মেদবাহুল্যের আশঙ্কা বাড়ে৷ শরীরের বিপাকক্রিয়ার হার কমতে শুরু করে৷ কাজেই বেশি দিন এ রকম চললে ওজন বাড়তে পারে সে কারণেও৷
বিজ্ঞানীদের কথায়, নিয়মিত কম ঘুম ও শব্দের কারণে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি ধীরে ধীরে ক্রনিক রোগের আকার নেয়৷ ইনসমনিয়া, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়ায়৷
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস