আওয়ার ইসলাম: ঘূর্ণিঝড় গাজা ভারতের তামিলনাড়ুর ছয় জেলায় আঘাত হেনেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে গাজা এসে পড়ে নাগাপট্টিনম ও বেদানিয়ামে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিও।
জানা যায়, তামিলনাড়ুর ৩০০ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ। নাগাপট্টিনম, থিরুভারুর, রামানাথাপুরম, পুডুকোটিতে বহু মানুষ ঘরছাড়া। ঝড়ের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নাগাপট্টিনমে। কাড্ডালোর, পুডুকোটি থিরুভারুরসহ সাত জেলায় বিদ্যুৎ সরবারহ বিপর্যস্ত।
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উপকূলবর্তী তামিলনাড়ু পার করে ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাবে গাজা। এর প্রভাবে আগামী ছয় ঘণ্টা ঝোড়ো হাওয়া হবই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রে।
দিল্লির আবহাওয়া অফিসের শুক্রবার ভোর ৩টা ১৫ মিনিটের একটি বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গাজার কেন্দ্রস্থলটি তামিলনাড়ুর স্থলভাগে এসে পড়লেও তার অন্য অংশটি এখনও রয়েছে সমুদ্রেই। তামিলনাড়ুর উপকূল পার করতে আরও ঘণ্টা দুয়েক সময় নেবে গাজা।
এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের চারটি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি রাজ্যের নয় হাজার উদ্ধারকারী কাজ করে চলেছেন। তৈরি রাখা হয়েছে নৌসেনার দুটি জাহাজ ও কপ্টার।
গাজার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই বেশকিছু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। চেন্নাই থেকে নাগাপট্টিনম, থিরুভারুর ও তাঞ্জাভুর পর্যন্ত তিনটি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে চেন্নাই থেকে দক্ষিণমুখী চারটি ট্রেন।