বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ ।। ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১২ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তারাবি নিয়ে ১০ হাফেজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ; পাসের হার ৯৯.৪৯% জাতীয় ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিবাদকে বিলোপ করা সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে উপদেষ্টা মাহফুজের ‘মব’ নিয়ে পোস্ট, যা বলল ঢাবি ছাত্রশিবির ইফতা, আদবসহ বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি নিচ্ছে উত্তরার মাদরাসাতুল আযহার লালমাটিয়ায় দুই তরুণীকে সিগারেট খেতে না করা সেই রিংকুকে গ্রেফতার ‘অপরাধের সাম্প্রতিক ব্যাপকতার পেছনে পরাজিত শক্তির রাজনীতি ক্রিয়াশীল' একদিনে ২৯ হাজার কুরআনের কপি বিতরণ সৌদি আরবের ‘দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে’ নির্মাণাধীন ভবনের কাঠ পড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে আনতে কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ পুলিশের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সহিংস কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ও বিভিন্ন ঘটনায় আটক এবং সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সন্ত্রাসীদের কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

কাউন্সেলিং ও সাজাভোগ শেষে তাদের পুনর্বাসনেরও উদ্যোগ রয়েছে পুলিশের। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করে চরমপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। না হয় তারা আবারও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

যে কারণে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের কাজ ত্বরান্বিত করতে একটি ‘প্রতিরোধ কেন্দ্র’ স্থাপন করে সেখানে জঙ্গিদের মানসিকতা পরিবর্তনে কাজ করবে তারা।

জঙ্গি দমনে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় জঙ্গিদের কাউন্সেলিং করলে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কার্যকর ফলাফল আসতে পারে। তাছাড়া, সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের সাজা ভোগের পর উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনারও প্রয়োজন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় জঙ্গিদের ডি-র‌্যাডিকালাইজেশনের (চরমপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনা) কার্যক্রমের মধ্যে সামাজিকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অন্যতম। প্রতিরোধ কেন্দ্রের জন্য রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ১৩ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। যেখান থেকে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

পুলিশের উদ্যোগে কাউন্সেলিং ও পুনর্বাসন জঙ্গি দমনে কোনও ধরনের সুফল পাওয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, কাউন্সেলিং বা মোটিভেশনতো জাতিগতভাবেই দরকার। সকল মানুষের জন্য দরকার।

বিশেষজ্ঞরা পুলিশের এ উদ্যোগকে মানবিক ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন। নানা কারণে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়া তরুণ ও নারীদের জন্য এটি একটি অভিনব উদ্যোগ হিসেবেও দেখছেন তারা।

মনোনয়ন ফরম কিনলেন খেলাফত মজলিসের ১৫ প্রার্থী

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ