শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

‘বেঁচে থাকবো হালাল রুজি খেয়ে; হারাম ছুঁয়েও দেখবো না’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
আওযার ইসলাম

পুঁজিবাদি এ যুগে হালাল রুজি যেন সোনার হরিণ। শত চেষ্টা সত্ত্বেও হারাম উপার্জন থেকে বেঁচে থাকা কষ্টকর এবং প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে মনে যদি সাহস আর ভরসা থাকে আল্লাহর ওপর তাহলে অবশ্যই সম্ভব, এমনটাই করে দেখিয়েছেন সাভারের এক ব্যবসায়ী।

নামাজের সময় নামাজ পড়েন ব্যবসা বন্ধ রেখে। রমজান মাসে যেন শিশা ঢেলে প্রাচির গড়েন ব্যবসা ও নিজের মধ্যে থাকা সম্পর্কের মাঝে। বাকি এগারো মাসে যা উপার্জন করেন তা থেকে কিছু কিছু আলাদা করে রাখেন যাতে রমজানে ব্যবসায় থেকে বিরত থাকা যায়।

বলছিলাম এক ঝালমুড়ি বিক্রেতার কথা। ধন-সম্পদে অঢেল তেমন কিছুই নেই। মানুষটি ব্যবসা করেন মাত্র চার থেকে পাঁচঘন্টা। সকালে কোনো স্কুল বা মাদরাসার মাঠে দু’ঘন্টা মুড়ি বিক্রি করে দুপুরে বাড়ি ফিরেন। বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটের দিকে দ্বিতীয়বার ছুটেন আহারের জোগান দিতে।

কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মানসিকতা ও সুস্বাদু ঝালমুড়ি তৈরিতে পারদর্শি হওয়ায় তার দোকানে ভিড় লেগে থাকে সবসময়ই। দুই হাতই নানারকমের মশলা আর মুড়িতে ব্যস্ত থাকলেও কান দু'টো বরাবরই আজানের অপেক্ষায় থাকে। আজান হলে বিক্রি বন্ধ করে আশপাশের কোনো মসজিদে ঢুকে নামাজ আদায় করেন।

কিছুটা অনুসন্ধানী চোখে একদিন তার কাজকর্মে গাঢ় নজর দিয়ে লজ্জায় পড়তে হলো। নামাজান্তে তিনি যে আমলগুলো আদায় করেন খুব কম মানুষই খুঁজে পাওয়া যাবে যারা এগুলোতে অভ্যস্ত। চার কুল পড়ে কিছুটা শব্দ করেই পড়তে থাকেন সুরা হাসর। জিকির ও আল্লাহর স্বরণে যেন হরদমেই নড়তে থাকে তার মুখ।

সাভারের এ ঝালমুড়ি বিক্রেতা থাকেন মজিদপুরে। প্রতিদিন এর আশপাশেই মুরি বিক্রি করেন।  জীবিকার তাগিদে ফরিদপুর ছেড়ে ঢাকায় আসেন প্রায় ১০ বছর হলো। কখনো কঠিন অভাবে পড়েন নি এমন স্বীকারুক্তিও দিলেন অনায়সেই।

বয়স ষাটোর্ধ্ব। তবে ক্লান্তি বা অসুস্থতা ধরে নি, তার চলাফেরা বলে দেয় তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ। ছেলে মেয়েদের বোঝা হতেও রাজি নন পরিশ্রমী ও কর্মঠ এই মানুষটি। জীবনযুদ্ধে লড়ে যেতে চান মৃত্যু পর্যন্ত।

তার একটাই কথা, বেঁচে থাকবো হালাল রুজি খেয়ে। হারাম পয়সা ছুঁয়েও দেখবো না কোনদিন। খালেছ ইবাদত আর হালাল রুজিকে আমৃত্যু ধরে রাখবো ইনশাআল্লাহ।

মেয়র আ জ ম নাসিরের প্রতি খোলা চিঠি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ