সাজিদ নূর সুমন
ফিচার রাইটার
আমাদের দেহের বিপাকক্রিয়ায় তৈরি সব বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে কিডনির মাধ্যমেই বের হয়ে যায়। কিডনি অকার্যকর হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়।
তখন বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে কিডনি অকার্যকারিতার হার ক্রমাগত বাড়ছে। আর কিডনি রোগ চিকিৎসার জনবল ও অবকাঠামো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই দুর্বল।
তাই কিডনি সুস্থ রাখার দিকে নজর দিতে হবে এখনই। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন যে ৬ টি অনিয়মের ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিডনি-
১। মদ্যপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। অ্যালকোহল কিডনি আমাদের দেহ থেকে সঠিক নিয়মে নিস্কাশন করতে পারে না। ফলে এটি কিডনির মধ্যে থেকেই কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে কিডনি নষ্ট করে দেয়।
অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হন অনেকেই। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তাই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
২। কিডনির সুরক্ষার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পানি। আমরা অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি না। এতে ক্ষতি হয় কিডনির। বাড়ি থেকে বাইরে বের হলেই অনেকের পানি পানের কথা মনে থাকে না।
কিন্তু এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি তার সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করা অত্যন্ত জরুরী। তাই সাথে সব সময় পানির বোতল রাখুন।
৩। অনেকের বাড়তি লবণ খাওয়ার বাজে অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে লবণ নিয়ে খান অনেকেই। কিন্তু এই অনিয়মটির কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে কিডনির।
কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিডনি। এমনকী কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
৪। অনেকেই সামান্য ব্যথা পেলেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। কিন্তু এটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি কাজ।
অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরণের ব্যথানাশক ঔষধ কিডনির কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করে। এতে পুরোপুরি ড্যামেজ হয়ে যায় কিডনি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও কোনো ব্যথানাশক ঔষধ খাবেন না।
৫। অনেকের একটি বড় বাজে অভ্যাস রয়েছে যা হলো মাংসের প্রতি আসক্ততা। অনেকেই শাকসবজি ও মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাংসের উপর নির্ভরশীল থাকেন।
এই অনিয়মটিও কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিডনির সুরক্ষার জন্য মাছ ও শাকসবজি অনেক বেশি জরুরী। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই খাদ্যাভ্যাসটা ঠিক করুন।
৬। ঘরের বাইরে বেরুলে অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। মনে করেন কিছুটা সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। আপাত দৃষ্টিতে এর ক্ষতির মাত্রা ধরা না পরলেও এটি কিডনিকে নষ্ট করে দেয় খুব দ্রুত।
নবীজি সা. যেসব খাবার পরিহার করেছেন
আরএম/