শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


পানি বিশুদ্ধ করার ৭ উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্যবহার করার প্রায় ৯২ শতাংশ পানিই দূষিত। এদেশে পান করার ৪১ শতাংশ পানিতে ই-কোলি ব্যাকটেরিয়া আছে। আর ১৩ শতাংশ পানি আর্সেনিকযুক্ত। শহরগুলোতে ৫২ শতাংশ পানি পাইপলাইনে সরবরাহ করা হলেও তা সঠিক মাত্রায় শোধন করা হয় না।

বিশুদ্ধ পানির আরেক নাম যেমন জীবন। তেমনি মানুষের মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি হয় দূষিত পানির কারণে। তবে এই পানিকে চাইলে ৭টি উপায়ে শতভাগ বিশুদ্ধ করা সম্ভব।

১. ফুটিয়ে: পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে পুরানো ও কার্যকর পদ্ধতির একটি হল সেটা ফুটিয়ে নেয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, পানি ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ৫ থেকে ২৫ মিনিট ধরে ফোটানো হলে এরমধ্যে থাকা জীবাণু, লার্ভাসহ সবই ধ্বংস হয়ে যায়।

২. ফিল্টার: পানি ফোটানোর মাধ্যমেই ক্ষতিকর জীবাণু দূর করা সম্ভব হলেও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত থাকতে ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করা যেতে পারে। যাদের গ্যাসের সংকট রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফিল্টারে পানি বিশুদ্ধ করাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। বাজারে বিভিন্ন ধরণের ফিল্টার পাওয়া যায়।

৩. ক্লোরিন ট্যাবলেট বা ব্লিচিং: পানির জীবাণু ধ্বংস করতে ক্লোরিন বহুল ব্যবহৃত একটি রাসায়নিক। যদি পানি ফোটানো বা ফিল্টার করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে পানি বিশুদ্ধিকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি পরিশোধন করা যেতে পারে।

সাধারণত দুর্গম কোথাও ভ্রমণে গেলে অথবা দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বা জরুরি কোন অবস্থায় ট্যাবলেটের মাধ্যমে পানি শোধন করা যেতে পারে। সাধারণত প্রতি তিন লিটার পানিতে একটি ট্যাবলেট বা ১০ লিটার পানিতে ব্লিচিং গুলিয়ে রেখে দিলে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়।

৪. পটাশ বা ফিটকিরি: এক কলসি পানিতে সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিলে পানির ভেতরে থাকা ময়লাগুলো তলানিতে স্তর হয়ে জমে। এক্ষেত্রে পাত্রের উপর থেকে শোধিত পানি সংগ্রহ করে তলানির পানি ফেলে দিতে হবে।

৫. সৌর পদ্ধতি: যেসব প্রত্যন্ত স্থানে পরিশোধিত পানির অন্য কোনও উপায় নেই সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় সৌর পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে দূষিত পানিকে জীবাণুমুক্ত করতে কয়েক ঘণ্টা তীব্র সূর্যের আলো ও তাপে রেখে দিতে হবে। এতে পানির সব ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে দূষিত পানি হবে বিশুদ্ধ।

৬. আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি: পরিষ্কার ও স্বচ্ছ পানি জীবাণু মুক্ত করার জন্য অতিবেগুনি বিকিরণ কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এতে করে পানির সব ধরণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। বাজারের বেশ কয়েকটি আধুনিক ফিল্টারে এই আল্ট্রাভায়োলেট পিউরিফিকেশন প্রযুক্তি রয়েছে। এটা কিছুটা ব্যয়বহুল।

৭. আয়োডিন: এক লিটার পানিতে দুই শতাংশ আয়োডিনের দ্রবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখলেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এটি সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত পদ্ধতি।

সূত্র: বিবিসি।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ