শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


জ্বরের চিকিৎসায় রাসুল সা. যা করতেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জ্বর একটা প্রসিদ্ধ রােগ। সকল দেশের প্রত্যেক এলাকায় এ রােগের প্রকোপ দেখা যায়। ছােট বড় যুবক বৃদ্ধ, নির্বিশেষে সকলেই এই রােগের শিকার হয়ে থাকে। এ জ্বর যেমন অনেক প্রকার তেমনি এর কারণ বা উপসর্গও অসংখ্য। গ্রীষ্ম প্রধান দেশে জ্বরের প্রকোপ খুব বেশী দেখা যায়।

এখানকার মানুষ প্রচন্ড গরম ও সূর্যোত্তাপে খুবই অস্থির হয়ে পড়ে। যার ফলে জ্বরের উত্তাপের সীমা চরমে পৌঁছে। বর্তমানে এ ধরনের রােগীকে বরফের সেল দ্বারা ঠান্ডা করা হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঠান্ডা পানিকে জ্বরের একটা উৎকৃষ্ট চিকিৎসা সাব্যস্ত করেছেন।

এ সম্পর্কে একাধিক সাহাবায়ে কিরাম হতে রেওয়ায়াত বর্ণিত রয়েছে।

হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে  “জ্বর জাহান্নামের একটা উত্তপ্ত পাত্র বিশেষ তােমরা ঠান্ডা পানির দ্বারা এটাকে দূর কর।” -সুনানে ইবনে মাজাহ

কোন কোন রেওয়ায়াতে আছে যমযমের পানি দ্বারা ঠান্ডা করবে। হযরত সামুরা রা. থেকে বর্ণিত  “জ্বর জাহান্নামের উত্তাপের অংশ বিশেষ। তােমরা ঠান্ডা পানি দ্বারা এটা ঠান্ডা কর।”- মুস্তাদরাকে হাকেম, তাবরানী।

হযরত ইবনে উমর রা. হতে বর্ণিত “জ্বর জাহান্নামের তাপ। পানি দ্বারা এটাকে ঠান্ডা কর।”

- ইবনে মাজাহ, মালেক, আহমদ, নাসায়ী,

হাকেম প্রায় অনুরূপ একটা হাদীস হযরত আনাস রা. থেকেও বর্ণিত রয়েছে। প্রখ্যাত হেকীম জালিনুস স্বীয় “হীলাতুল বার” নামক কিতাবে জ্বরের জন্য পানিকে সর্বোত্তম উপকারী বলে বর্ণনা করেছেন। যুগশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ ইমাম রাযী রহ. তার কাবীর' গ্রন্থে জ্বরের জন্যে ঠান্ডা পানি ব্যবহারের বিভিন্ন পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন।

উৎস: তিব্বে নববী

হজরত ওমর রা. এর অমীয় ৫ বাণী

আরেএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ