ইসমাঈল আযহার
সাধারণ রোগ মুক্তির অন্যতম ঔষুধ:
ঠান্ডা, জ্বর সহ ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে সরিষার তেলের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া পানির বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে সরিষার তেল।
ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে:
এক গভেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে উপস্থিত লাইনোলেনিক অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। সুতরাং ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সরিষার তেল।
আদর্শ ভোজ্য তেল:
খাবারের সঠিক পুষ্টিমান বজায় রাখার সব ক্ষমতাই রয়েছে এই তেলে। সেই সঙ্গে যে-কোন রান্নায় স্বাদ বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ। যে কোনো ধরণের ভাজি এবং ভর্তায় এখনো একচেটিয়া ব্যবহার করা হয় এই গুনবান তেল।
শরীরের অন্যতম মালিশ:
সরিষার তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদানসমৃদ্ধ। ত্বকের ওপর এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন দূর হয়। সপ্তাহে একদিন সরিষার তেল সারা শরীরে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করলে দেহের প্রতিটি কোনায় রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেহের সচলতাও চোখে পরার মতো বেড়ে যায়। সেই সাথে আপনার শুষ্ক ত্বককে করে তুলবে লাবণ্যময়।
ব্যাথা উপোশম করে:
বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, সরিষার তেলে রয়েছে ওমেগা ত্রি এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট পেইন এবং ডিপ্রেশনের মত রোগ সারাতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। চুলের কার্যকরি উপাদান
সরিষার তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড (অলিক ও লিনোলিক অ্যাসিড) চুলকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। চুলের গোড়া মজবুত করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহারে চুল পড়া কমে এবং চুলকে ঘন ও কালো করে তোলে।
হার্ট সুস্থ রাখে
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
সরিষার তেল মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং স্মৃতি শক্তি রক্ষায় অন্যতম ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত সরিষার তেল মাখলে স্ট্রোকে ঝুকি কম থাকে।
বেশ কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত সরিষার তেল খেলে এবং গায়ে মাখলে হার্টের কোনও ক্ষতি হয় না। সেই সাথে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকটা হ্রাস পায়।
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার