আওয়ার ইসলাম: দেশে বার মাস পাওয়া যায় এমন একটি ফল কলা। কলার অনেক গুণ, এটি পুষ্টিকর, সহজেই বাড়ায় শরীরের শক্তি। তবে পুষ্টিকর এ ফলটি রাত ও দিনের সবসময় খাওয়া যাবে কি না? এমন প্রশ্নে দোলাচলে থাকেন অনেকে।
শতবর্ষ পরে ফিরে দেখা ইতিহাস বঙ্গভঙ্গ ও মুসলিম লীগ
তাদের সেই প্রশ্নের দোলাচলের সমাধান টানছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ড. আশুতোষ গৌতম। তিনি বলেন, রাতে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো সমস্যা নেই। তবে গভীর রাতে এটা না খাওয়াই ভালো। ভারী খাবার হওয়ায় কলা হজমে সময় লাগে বেশি।
তাই ঘুমানোর ২-৩ ঘণ্টা আগে এটা খাওয়া ভালো বলে মনে করেন তিনি। কলায় থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হওয়ায় পেটের সমস্যায় খাওয়া হলে তাতেও আরাম দেয়।
সাধারণত ঠাণ্ডা লাগলে কলা বা টক জাতীয় ফল খেতে নিষেধ করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে যে কোনো কিছু খাওয়াতে ক্ষতির কিছু নেই। আর কলাতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাড়ায়।
পুষ্টিসমৃদ্ধ এ খাবারটি অসুস্থতার কারণে শরীর থেকে কমে যাওয়া মিনারেল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে, যা সর্দি কাশি ও জ্বর প্রশমিত করতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।
মাইক্রোবায়োটিক নিউট্রিশনিস্ট শিল্পা অরোরা বলেন, কলা খুবই স্বাস্থ্যকর ও শক্তিবর্ধক খাবার, তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে এটা বাদ দেওয়া ঠিক নয়। তবে কারো যদি ঠাণ্ডা, কাশির প্রবণতা বা অ্যাজমা থাকে, তাহলে সন্ধ্যার পর কলা না খাওয়াই ভালো।
রাতে মিষ্টি কিছু না খাওয়াই ভালো, বিশেষ করে খুব মিষ্টি জাতীয় ফল। কারণ এতে শরীরের এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়। অথচ এটা হল ঘুমের সময়। তবে মিষ্টি কিছু যদি খেতেই হয়, তাহলে কলা খাওয়াতে ক্ষতির কিছু নেই।
কলাতে থাকা ম্যাগনেসিয়ামের জন্য ঘুম ভালো হয়। এতে শর্করার পরিমাণ কম থাকায় ব্লাড সুগার লেভেল বাড়ায়ও না।
তবে ঠাণ্ডা কাশিতে যারা ভুগছেন রাতে তাদের কলা খাওয়া ঠিক হবে কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
সূত্র: এনডিটিভি, একুশে টিভি।
আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
আরও পড়ুন- সভাপতিকে না জানিয়েই মুসলিম লীগের কাউন্সিলের অভিযোগ
-আরএম/