আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ষষ্ঠ দিনে রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না শ্রমিকরা। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুয়েকটি বিচ্ছিন্নভাবে গাড়ি চললেও তা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তবে সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
সকাল থেকেই রাজধানীর গাবতলী, মহাখালীসহ আন্তঃজেলা টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখে শ্রমিক-মালিকরা। বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় অসংখ্য মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় বাস না পেয়ে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
মিরপুর-মতিঝিল, মোহাম্মদপুর-সায়েদাবাদ, উত্তরা-মতিঝিল রুটে চলাচলকারী নিয়মিত বাসগুলো সড়কে দেখা যায়নি। রোকেয়া সরণি, প্রগতি সরণি, এয়ারপোর্ট রোড, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ প্রায় ফাঁকা। কয়েকটি বাস চলাচল করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যায় অত্যন্ত নগণ্য।
মিরপুর সাড়ে ১১ তে পরিস্থান পরিবহনের একটি গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন ১০-১২ জনের এক দল শ্রমিক। এই প্রতিবেদককে তারা বলেন, মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছেন। কোনো গাড়ি চলতে দেয়া হবে না।
আব্দুল্লাহ নামের এক পরিবহন শ্রমিক বলেন, শিক্ষার্থীদের গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছেন। কাজেই কোনো গাড়ি চলবে না।
তবে মিরপুরের ডিসি (ট্রাফিক-পশ্চিম) লিটন কুমার সাহা বলেন, মালিক সমিতি এখনো ধর্মঘট ডাকেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা ডাকতে চাইলে আমরা তাদের না করেছি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে শ্রমিকরা গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে পারেন।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েক দিন সড়ক অবরোধ করে তারা। কয়েকদিনের টানা বিক্ষোভের মুখে বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে ১১টি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির মুখে সরকারের ১১ পদক্ষেপ
আরএম/