রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
‘জমজম’ আল্লাহ তাআলার দেয়া অনন্য নিদর্শন ও রহমত। ভূপৃষ্ঠের সেরা পানি এ জমজম। হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের পদাঘাতে সৃষ্ট কুয়ার এ পানি পানে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় শীতল হয়।
প্রিয়নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের সেরা পানি হল জমজমের পানি। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্য এবং রোগ হতে আরোগ্য।’
হজ ওমরা ও জিয়ারতকারীসহ মুসলিম উম্মাহর জন্য জমজমের পানি আল্লাহ তাআলার মহা অনুগ্রহ। যে কুয়া বান্দার প্রতি মাওলার এক বিশেষ দান। আল্লাহ তাআলা হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম ও তাঁর মা বিবি হাজেরার জীবন রক্ষার্থে দান করেছিলেন।
পরবর্তীতে পবিত্র নগরী মক্কার আবাদে এবং শেষনবি-এর আগমন স্থল হিসেবে এ স্থাননে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আল্লাহ তাআলা এ অলৌকিক কুয়া সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
পবিত্র জমজমের পানি বিশুদ্ধভাবে হাজিদের মাঝে বিতরণ করতে মসজিদুল হারামের কাছাকাছি ২০১০ সালে একটি ট্যাংক নির্মিত হয় । ৭০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের মাধ্যমে এর সংস্কার কাজ করা হয়। পরে, গতবছরের শেষের দিকে আবারো নতুন করে এ কূপের সংস্কার কাজ করা হয়।
বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে ১১-২৯ লিটার পানি পাম্প করে জমজম থেকে। কিন্তু তারপরও তার পানি শেষ হয় না কখনো। জমজম নিয়ে গবেষণা কম হয়নি। এখনো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।
সাম্প্রতিক জমজম কূপ নিয়ে হারামাইন শরিফাইনের জেনারেল প্রেসিডেন্টি একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করেছে। ১৫ মিনিটের এই প্রামাণ্যচিত্রে জমজম কূপের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও অজানা কিছু তথ্য উঠে এসেছে।
ভিডিওতে দেখুন জমজম কূপ নিয়ে তৈরি ডকুমেন্টারি ...
আরও পড়ুন- জমজম কূপে পানির পরিমাণ কতটুকু?
আরএম-