অাওয়ার ইসলাম : সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৫ জুলাই) মধ্যরাতের এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে অভিযুক্ত চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহিকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর নানি। রোববার রাতে ওই স্কুলছাত্রী ছাড়া আর কেউ রোগীর সঙ্গে ছিলেন না। রাতে ফাইল দেখার কথা বলে ইন্টার্ন চিকিৎসক মাহি ওই মেয়েটিকে একই ফ্লোরে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়।
সকালে মা-বাবা হাসপাতালে এলে তাদেরকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায় ওই তরুণী। সোমবার সকালে ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর অন্যান্য চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের নিয়ে বৈঠক করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক। বৈঠকের পর ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসক মাহিকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রাখা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মাক্কাম আহমদ মাহিকে আটক করা হয়েছে। বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। বাবার নাম মোখলেসুর রহমান। তিনি ওসমানী মেডিক্যালের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন : কোটা নিয়ে স্ট্যাটাস; জাবির ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি ছাত্রলীগের