আওয়ার ইসলাম: চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অর্থনীতিতে আরেকটি মন্দার আশংঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখন শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে, তারপরেও ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন।
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, পাল্টা শুল্কের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাদের ব্যবসা নিয়ে যেতে পারেন।
ইতোমধ্যে বিখ্যাত মোটর সাইকেল উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান হার্লে ডেভিডসন বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালু হওয়া পাল্টা শুল্ক নীতির কারণে তাদের মুনাফা বছরে ১০ কোটি ডলার কমে যাবে।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কিছু কারখানা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, বাণিজ্য যুদ্ধ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটি পর্যায়ক্রমে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। ৩ হাজর ৪শ’ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের উপর এ শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
এর জবাবে ৫৪৫টি মার্কিন পণ্যের ওপর সমহারে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। চীন বলছে, বিশ্বের অর্থনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধের শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের উপর কর বসালে এর উত্পাদনের প্রভাব সংশ্লিষ্ট সব দেশেই পড়বে। বিবিসির সংবাদে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, যেমন, আইফোনের ডিজাইন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
কিন্তু এটা তৈরি হয়েছে চীনে। শুধু তাই নয়, এর যে নানান যন্ত্রাংশ, সেগুলো আবার তৈরি হয়েছে জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো অন্য কোনো তৃতীয় দেশে। ফলে চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব এসব তৃতীয় দেশেও পড়বে।
রোহিঙ্গাদের ১০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এডিবি