আওয়ার ইসলাম : ঢাকার ধামরাইয়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় স্বামী জাফর ও ননদ রোকেয়াসহ ছয়জনকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরিফ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
অপর আসামিরা হলেন সালেক, জাহাঙ্গীর, আবদুর রহিম ও ফেলা মিয়া। এর মধ্যে শুধু স্বামী জাফর কারাগারে রয়েছেন। বাকি পাঁচজনই পলাতক। ২০০৫ সালে পুড়িয়ে মারা হয় সামিনাকে।
সামিনার মা নাজমা বেগম মামলায় অভিযোগ করেন যে, ২০০৩ সালে জাফরের সঙ্গে তাঁর মেয়ে সামিনার বিয়ে হয়। ওই সময় ১৬ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সময় ছয় হাজার টাকা দিতে পারলেও বাকি ১০ হাজার টাকা দিতে না পারায় সামিনাকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতেন স্বামী জাফর ও ননদ রোকেয়া ।
২০০৫ সালের ৭ জুন সামিনার ননদ রোকেয়ার সৈয়দপুরের বাসায় বেড়াতে যান। সেখানে পরিকল্পিতভাবে বেলা ৩টার দিকে রোকেয়ার ঘরে সামিনার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে গুরুতর দগ্ধ সামিনাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নিহতের মা নাজমা বেগম ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের পর ধামরাই থানার উপপরির্দশক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর পরে মামলাটির রায় দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন : দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী গ্রেপ্তার