আওয়ার ইসলাম: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করার মতো খুব খারাপ কার্যক্রম আমরা গ্রহণ করেছিলাম, যা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। স্পষ্ট করে বলছি, আমি এটার পক্ষে নই।
এমপিওভুক্তি নিয়ে অনেক জালিয়াতি ছিল, শিক্ষামন্ত্রী এখন সেটা কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন। এমপিভুক্তির মাধ্যমে মূলত কয়েকজন শিক্ষক ও কিছু সংখ্যক কর্মচারীকে বেতন দেয়া হয়।
কিন্তু শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এমপিওভুক্তি যথাযথ কার্যক্রম নয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে এর চেয়ে বরং অনেক ভালো কার্যক্রম হলো ছাত্র-উপবৃত্তি, শিক্ষার উপকরণ ও শিক্ষার্থীদের টিফিন দেয়া। সংসদ সদস্যরা এসব নিয়ে কেন মোটেই নজর দেন না এবং বারবার এ নিয়ে কথা বলছেন। যা মোটেও ভালো কাজ নয়।
মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নজিবুল বশর তার প্রশ্নে বলেন, এমপিওভুক্তি নিয়ে আমরা সংসদ সদস্যরা খুব সমস্যার মধ্যে আছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন- অর্থমন্ত্রী টাকা দিলে এমপিওভুক্তি করা হবে।
এখন এখানে শিক্ষামন্ত্রীও উপস্থিত আছেন। আদৌ কি এমপিওভুক্তি হবে? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য এবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সুতরাং আপনারা সেটা পাবেন।