আওয়ার ইসলাম: ভারী বৃষ্টিতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন চট্টগ্রাম নগরবাসী। চকবাজার, কাপাসগোলা, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, বেপারি পাড়াসহ নিম্নাঞ্চলে জমেছে হাঁটুপানি। জোয়ারের সঙ্গে ক্রমে বাড়ছে সেই পানি।
যথারীতি রাস্তাঘাটে কমে গেছে যানবাহন। রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া হাঁকা হচ্ছে দ্বিগুণ।
বিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা থাকায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বেরিয়েছেন। ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া মজুরদের কষ্ট বেড়েছে বেশি।
হালিশহরসহ যেসব এলাকায় ওয়াসার পানি সরবরাহ কম সেখানকার বিভিন্ন পরিবারের সদস্যদের বৃষ্টির পানি সংগ্রহ দেখা গেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার (৩ জুলাই) সকাল নয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টি হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে। দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি জানান, সকাল ১০টায় জোয়ার শুরু হয়েছে। বিকেল পৌনে তিনটায় জোয়ারের পানি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাবে। এরপর থেকে ভাটা শুরু হবে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে আবার জোয়ার আসা শুরু হবে।
চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, সিডিএ আবাসিকের নিচতলার ভাড়া বাসায় ছিলাম। জোয়ার-ভাটার পানি থেকে বাঁচতে চকবাজার এলাকায় এসেছি।
ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার কারনে মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের এখনো প্রস্তুতি নেই: পিটার মাউরা