আবদুল্লাহ তামিম: রাফিদা খান রাইফা। গলায় ব্যথা অনুভব করে গায়ে জ্বরও ছিল হালকা। দেরি না করে বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরের অভিজাত বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে। আশা ছিল-সঠিক চিকিৎসা নিয়েই ঘরে ফিরবে সে আবার। একদিন পর ফিরল লাশ হয়ে।
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগের পর ব্যথায় ছটপট করতে থাকা রাইফাকে ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। সেই ওষুধই তাকে পাড়িয়ে দিল চিরদিনের ঘুম। ভুল চিকিৎসা ও ডাক্তারের অবহেলায় ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই লাশ হলো আড়াই বছরের রাইফা। তার বাবা একটি দৈনিক পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার রুবেল খান।
ভুল চিকিৎসা ও ডাক্তারের অবহেলার অভিযোগে সাংবাদিক নেতাদের দাবির মুখে ম্যাক্স হাসপাতালের এক চিকিৎসক, এক নার্স ও হাসপাতাল সুপারভাইজারকে চকবাজার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এরপর বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গকে নিয়ে থানায় যান। হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন তিনি।
কেন হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে-কৈফিয়ত চান ওসির কাছে। ওসির সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন।
এক ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রামের সব হাসপাতাল বন্ধ ও সাংবাদিকদের চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার হুমকি দিয়ে ক্ষমতা দেখাতে থাকেন। সাংবাদিকরা তখন কঠোর অবস্থান নিলে এক পর্যায়ে সুর নরম হয় তার।
পরে দু'পক্ষের আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুসারে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পাঁচ সদস্যের পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ম্যাপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। তদন্ত চলছে। কিন্তু ভুল চিকিৎসায় ঝরে যাওয়া কচি খুৃকিটা কি আর ফিরে আসবে ? স্তব্ধ হয়ে আছে জনোগণ।
উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু