আওয়ার ইসলাম : ফেনির পরশুরাম উপজেলায় 'জ্বীন তাড়াতে' গিয়ে কথিত এক কবিরাজের লাঠির বাড়িতে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার জিএম হাট ইউনিয়নের শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ শহিদুল্লাহ (৫২) নামের ওই 'কবিরাজকে' আজ দুপুরে আটক করেছে।
নিহত আলমগীর হোসেন পরশুরাম পৌর এলাকার উত্তর গুথুমা মজুমদার বাড়ির কালাচান মজুমদারের ছেলে। তার দুই সন্তান রয়েছে।
পরশুরাম পৌরসভার কাউন্সিলর ও নিহত যুবকের চাচা রাসুল আহমদ মজুমদার স্বপন জানান, বুধবার বিকেলে আলমগীর ফুলগাজীর মুন্সীরহাট ইউনিয়নের তারালিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যান। পরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে তাকে বৃহস্পতিবার সকালে কথিত কবিরাজ শাহিদুল্লাহের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে সকাল ৮টার দিকে আলমগীরকে জ্বীনে ধরেছে বলে তার পরিবারকে জানান শহিদুল্লাহ। পরে সাড়ে ৮টার দিকে আলমগীরকে হাত-পা বেঁধে নাকে তেল দিয়ে ঝাড়-ফুক শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে জ্বীন তাড়ানোর জন্য লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। এতে আলগীর অচেতন হয়ে পড়লে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. নাসরিন আক্তার জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই আলমগীরের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফুলগাজী থানা পুলিশ শ্রীচন্দ্রপুর গ্রাম থেকে 'কবিরাজ' শহিদুল্লাহকে আটক করে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত যুবকের লাশ ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কবিরাজ শহিদুল্লাহ থানা হাজত থেকে সাংবাদিকদের জানান, নিহত আলমগীর হোসেনকে জ্বীনে ধরেছে। তা ছাড়া তিনি শারীরিকভাবেও গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। জ্বীন তাড়ানোর সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তিনি কীভাবে মারা গেছে তা তিনি জানেন না।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত পান্না লাল বড়ুয়া জানান, যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 'কবিরাজকে' আটক করা হয়েছে।আমাদের সময়।
আরও পড়ুন : শেখ ফরিদকে হত্যা করল কুমিল্লার ‘জিন হুজুর’