মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী গওহরডাঙ্গা মাদরাসার ৮৯তম মাহফিল শুরু আগামীকাল

বিচারক স্বল্পতায় আপিল বিভাগে মামলার স্তূপ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বেড়েছে।

৩১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে মামলা ছিল ১৬ হাজার ৫৬৫টি। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা ১৮ হাজার ২৪৬টিতে গিয়ে ঠেকেছে।

বর্তমানে আপিল বিভাগে ৪ জন বিচারপতির একটি মাত্র বেঞ্চ রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ওই বেঞ্চে তিনজন সদস্য রয়েছেন।

একসময় বিচারপতির সংখ্যা ছিল ১১ জন। নভেম্বর পর্যন্তও দুটি বেঞ্চে বিচার কাজ চলে। মামলার এই সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে বিচারক স্বল্পতাই মূল কারণ বলছেন আইনজ্ঞরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমেই এ নিয়োগ হবে।

সংবিধানে উচ্চ আদালতে বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ করা নেই। প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির পরামর্শে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

সংবিধানের ৯৪(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ ও নিয়োগ করে থাকেন।

ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি (যিনি ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি’ নামে অভিহিত হইবেন) এবং প্রত্যেক বিভাগে আসন গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতি যেরূপ সংখ্যক বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনবোধ করবেন, সেইরূপ সংখ্যক অন্যান্য বিচারক লইয়া সুপ্রিমকোর্ট গঠিত হইবে।’

সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারপতি পদে থাকা যায়। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতির জারি করা আপিল বিভাগে ১১ জন বিচারক থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র বলছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দায়িত্ব নেয়ার পর মামলাজট কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়। বিচারক সংকটের কারণে মামলাজট শেষ করা যায়নি।

গত বছরের শুরুতে আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ৯ বিচারপতি ছিলেন।

আপিল বিভাগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। গত দুই বছরে কোনো বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়নি।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বর্তমানে আপিল বিভাগে বর্তমানে বিচারাধীন ১৮ হাজার ২৪৬টি মামলার মধ্যে ১২ হাজার ১৩৬টি দেওয়ানি, ৬ হাজার ২টি ফৌজদারি ও অন্যান্য ১০৮টি। ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৪৮৫টি মামলা।

বিচারক সংকট ও মামলাজট নিয়ে প্রধান বিচারপতিও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আইনজীবীদের উদ্দেশে এক বাণীতে তিনি বলেন, মামলাজট আজ শুধু আদালতের একার সমস্যা নয়। এটি বারের জন্যও অস্বস্তির কারণ।

দল-মত নির্বিশেষে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান: আল্লামা বাবুনগরী


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ