এম ওমর ফারুক আজাদ
ফটিকড়িতে ভয়াবহ চুরির ঘটনায় স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় সাথ লক্ষ টাকা মূল্যের মালামাল ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে চোরা দল।
গত ১৬জুন দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ফটিকছড়ি বিবরহাট বাজারের ১নং রোড়স্থ ভাই ভাই বিল্ডিং এ সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন এর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৮০হাজার টাকা, একটি লাভা এনড্রয়েড মোবাইল সেট সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশ মূল্যের ১০হাজার টাকা), তিনটি ব্যাংক হিসাবের চেক বই ও অন্যান্য আসবাব নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মুহাম্মদ সেলিম এর স্ত্রী মরজিনা বেগম আজ সকালে বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় অজ্ঞাতনামা একটি চুরি মামলার অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় প্রবাসী সেলিমের স্ত্রী মরজিনা বেগম ঈদ কাটাতে গ্রামের নিজ বাড়ি ভুজপুরে গেলে ওইদিন রাতে কে বা কারা এসে তার বাসার দরজা ভেঙ্গে ভয়াবহ চুরি করে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। এসময় চোরা দল বাসার দুইটি স্টিলের আলমিরা ভেঙ্গে ফেলে।
এছাড়াও তারা চলে যাওয়ার সময় দুইটি ধারালো নতুন বটি ও রড রেখে যায়।
মামলায় কারো নাম সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করলেও বাদি মরজিনা সন্দেহের তীর ছুড়ে দিয়েছেন বিল্ডিং মালিক মনচুর এর দিকে।
তিনি মামলার এজাহারে বলেন, ঘটনার পরদিন সকালে জমিদার মনচুর আমাদের চুরির খবর দিলে আমরা এসে সব কিছু তছনছ অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রশাসনের ধারস্থ হতে চাইলে তিনি আমাদের বাধা প্রদান করেন এবং আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
এছাড়াও তিনি জমিদার হিসেবে প্রহরীর মাধ্যমে আমাদের বাসার নিরাপত্তাদানে ব্যার্থ হওয়ায় আমাদের সন্দেহ তার সহযোগিতা ও যোগসাজশে চুরি ঘটনাটি হয়েছে।
আজ সকালে এ মামলাটি নেন দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এএসআই নাজমুল হুদা। পরে তিনি মামলাটি তদন্তের জন্য এসআই রাজ্জাকের দায়িত্বে হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে এসআই রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে বাসার তালা ও আলমিরা ভাঙ্গা দেখতে পাই। তবে জমিদারকে পাওয়া না যাওয়াতে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যেভাবে কাটে আল্লামা আহমদ শফীর ঈদ ও রমজান