মুমিনুল ইসলাম: পরিবারের কাছে যাওয়ার অপেক্ষা যেন শেষই হচ্ছে না। শ্রমজীবী মানুষের বাড়ি ফেরার শেষ ভরসা ঈদের দিন সকাল। তাই গাবতলী বাস টার্মিনালে রয়েছে যাত্রীদের চাপ। মহাসড়ক এখন ফাঁকা, তাই সময়মতো আসছে গাড়ি, আবার টার্মিনাল থেকে ছেড়েও যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে।
বিভিন্ন কাউন্টারে কথা বলে জানা যায়, ঈদের দিন বিশেষ ব্যবস্থায় বাস সার্ভিস চালু রেখেছেন বাস মালিকরা। কিন্তু কী সংখ্যক গাড়ি আছে, তার কোনও হিসাব নেই। যাত্রী আসলেই গাড়ি ভরে ছেড়ে দিচ্ছেন তারা।
ঈদের দিন সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, বাড়িতে যাওয়ার অপেক্ষায় শত শত মানুষ। কেউ কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটায় ব্যস্ত, কেউবা বাসের অপেক্ষায় বসে আছেন।
গাবতলী বাস টার্মিনালে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার ম্যানেজার নজরুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ—এই দুই রুটেই যাত্রী আছে। তবে আজকে (শনিবার, ঈদের দিন) দক্ষিণবঙ্গের যাত্রী আসছে বেশি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যাত্রীর চাপ আছে। পর্যাপ্ত গাড়ি আছে, তবে ট্রিপের কোনও হিসাব নেই। কারণ, যাত্রী ভরে গেলেই গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছি। মহাসড়কেও জ্যাম নেই, ফেরি ঘাটেও চাপ নেই। তাই গাড়ি সময়মতো আসতে পারছে এবং যেতেও পারছে।’
উত্তরবঙ্গের গাড়ি রোজিনা এন্টারপ্রাইজের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,আজকে উত্তরবঙ্গের যথেষ্ট যাত্রী আছে। সকাল থেকে তারা দুটি গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।
বরিশালগামী যাত্রী ফিরোজ জানান, চাঁদ রাতে দোকানে ডিউটি ছিল, তাই আজকে বাড়ি যাচ্ছেন। তার মতো এরকম আরও অনেকেই ঈদের দিনে বাড়ি যাচ্ছেন। ফিরোজ বলেন, ‘আমরা যারা দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করি, তাদের সংখ্যা একেবারে কম নয়, কয়েক হাজার তো হবেই।
এরা সবাই ঈদের দিন বাড়ি যান। এর আগে ভোর বেলা পর্যন্ত দোকানে থাকতে হয়। বেতন-বোনাস নিয়ে এখন বাড়ি যাচ্ছি।’
বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী রংপুরগামী যাত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল চাঁদ রাতের আগের দিন। টিকিট পাইনি বলে যেতে পারেনি। তাই আজকে যাচ্ছি।’