সাজ্জাদ আকবর: তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এতে চারজন নিহত ও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমদ দেমিরসান বলেছেন-আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রচারণা চালানোর সময় সানলোরফা প্রদেশের সুরুক জেলায় অতর্কিত এ হামলা চালানো হয় একেপি সদস্যদের ওপর। যাদের মধ্যে দলটির একজন এমপিও ছিলেন। তবে তার বড় ধরনের কোনো ক্ষতি না হলেও মারা যান তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী ইলদিজসহ আরো তিন নেতা।
সানলোরফা প্রদেশের গভর্নর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,ইলদিজ ব্যবসায়ীদের সাথে নির্বাচনী মতবিনিময় করাকালে এ হামলার শিকার হন। এছাড়া তুরস্কের সন্ত্রাসদমন বিষয়ক মন্ত্রী সুলাইমান সলো ভয়াবহ এ হামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন।
এ ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান নিরাপত্তাবাহিনী ও আইন বিভাগকে এর পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের কঠোর নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এ হামলা এ কথার সুস্পষ্ট প্রমাণ যে, পিকেকে ও এইচডিপিপন্থী এসব স্বীকৃত সন্ত্রাসীদের কিছুতেই ছাড় দেয়া উচিত হবে না। সত্যিকার অর্থে তুরস্ক তাদের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিকে টিআরটি হাবেরকে দেয়া এক লাইভ সাক্ষাৎকারে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এ হামলার জন্য কুর্দিপন্থী পিকেকে কে দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা কেমাল কিলিকদারেগলু হামলার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন- সঙ্ঘর্ষ আর হানাহানি নয়,জনগণের উচিৎ-সুষ্ঠু ভোটদানের মাধ্যমেই তাদের মতামত ব্যক্ত করা।
উল্লেখ্য, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কুর্দিদের নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠন পিকেকে এ পর্যন্ত ১২০০তুর্কি নাগরিক হত্যা করেছে,যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও ছিল।এছাড়া আহত করেছে চার হাজারেরও অধিক লোকজনকে।
সূত্র:আনাদুলো এজেন্সি
আরআর