মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বন্যায় বিপর্যস্ত কুলাউড়ার জনজীবন : ৫০ গ্রামে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : অতিবৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মনু নদীর ১০ টি স্থানে বাধ ভেঙ্গে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছেন কুলাউড়ার ৪ টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।

বিশেষ করে মনুর প্রতিরক্ষা বাধের শরীফপুর ইউনিয়নের অংশে ৬ টি স্থানে বড় বড় ভাংগনের ফলে এ ইউনিয়নের ২৫ টি গ্রাম অর্থাৎ শতভাগ গ্রামই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। অন্ত:ত পক্ষে ৫ শতাধিক মানুষের বাড়ি ঘর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শরীফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: জুনাব আলী।

অপরদিকে হাজীপুর,টিলাগাও ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নে বন্যায় রাস্তা ঘাট ডুবে গেছে। আউশ ক্ষেতসহ মানুষের বাড়িতে পানি চরম দূর্ভোগে ফেলেছে এতদ্বঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে শমসেরনগর -কুলাউড়া ও ভারতের কৈলাশহরের সাথে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে মনুর ভাংগনের খবর পেয়ে স্থানীয় এমপি মো:আব্দুল মতিন ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম,ইউএনও চৌধুরী গোলাম রাব্বি ভাংগন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে মনু নদীর শরীফপুর ইউনিয়নে প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রথমে ভাংগন শুরু হয়। পরে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৬টি স্থানে ভাংগন দেখা দিয়েছে।

সীমান্তের ওপার (ভারত) থেকে আসা ঢলে আকস্মিকভাবে বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় শরীফপুর ইউনিয়নের ২৫/৩০টি গ্রামের হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। শরীফপুরের বটতলা থেকে চাঁনপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়ক ৩ ফুট পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় শরীফপুরের সাথে কুলাউড়া উপজেলা সদরের এবং বাংলাদেশ-ভারত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

সোমবার ও মঙ্গলবারের টানা বৃষ্টিতে সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে মনু নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার বিকালে শরীফপুর ইউনিয়ন কার্যালয় সংলগ্ন চাতলা সেতু এলাকায় পানি বিপদ সীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

‘দেশে ওয়াজের মাঠ আছে, ওয়াজ প্রশিক্ষণ কোর্স থাকাও জরুরি’

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ