আবদুল্লাহ তামিম: জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ প্রত্যয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ বাজেট পেশ শুরু হয়। প্রথমেই অর্থমন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পেশ করেন।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার দুইশ ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা আদায় করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুহিত।
এছাড়া বৈদেশিক অনুদান থেকে চার হাজার ৫১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তা সংশোধন করে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। সংশোধন করে তা ৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকায় নামানো হয়। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ প্রত্যয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি বছরের বাজেটে যা ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির গড়হার ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, চলতি অর্থবছরের বাজেটে যা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রাখা হয়েছে।
যদিও বিশ্বব্যাংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৭ থাকবে বলে অনুমান করছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ প্রত্যয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজকের এই বাজেট বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ১২তম বাজেট। এর মধ্য দিয়ে টানা ১০ বার বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে কর মুক্ত আয়ের সীমায় কোনো পরিবর্তন রাখা হয়নি। ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখই থাকছে বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন- স্বাধীনতার পর থেকে এক নজরে বাজেটের ইতিহাস