আবদুল্লাহ তামিম: মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিষ্পত্তির পরিবর্তে নথিভুক্ত করে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সময় নষ্ট করছে বা কালক্ষেপন করছে মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, খালেদা জিয়া অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
এই বিষয়টি উল্লেখ করে হাজিরা পরোয়ানাসহ তার জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট জামিন শুনানি না করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করে দেয়।
কিন্তু বিদ্যমান তথ্য ও পারিপাশ্বিক অবস্থা দেখে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদন গ্রহনের নামে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তের (খালেদা জিয়া) জামিন আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অহেতুক সময়ক্ষেপন করেছেন।
যা বিচারিক প্রক্রিয়ার অপব্যবহারের শামিল। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দেন।
একইসঙ্গে হাজিরা পরোয়ানাসহ খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
১৫ আগষ্ট জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নালিশি (মানহানি) মামলা করেন সাংবাদিক নেতা গাজী জহিরুল ইসলাম। এই মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
গত দেড় বছরেও ওই পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হন খালেদা জিয়া। এরপরই গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার হাজিরা পরোয়ানাসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
এভাবে নানা অযুহাতে টালবাহানায় চলছে জেল হাজত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। বলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আরো পড়ুন- গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ২০ রোজার মধ্যেই পরিশোধের দাবি