মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


১০ বছরে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি, এবারও বাড়বে না: অর্থমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কোন ট্যাক্সরেট বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। এবারও বাড়বে না। দেশবাসীর জন্যে এটি আমার এবারের সুসংবাদ।’

সোমবার বেলা পৌনে ৪টার দিকে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে ভ্যাটকে ৯ স্তর থেকে পাঁচ স্তরে নামিয়ে আনা হবে। সর্বোচ্চ হার হবে ১৫ শতাংশ। আগামী বছর পাঁচ স্তর থেকে তিন স্তরে নামিয়ে আনা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবাইল এবং তামাক কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর অপরিবর্তিত থাকবে। ভ্যাটের স্তর হবে পাঁচটি। আর ভ্যাটের সর্বোচ্চ হার হবে ১৫ শতাংশ।

কর না বাড়লে রাজস্ব বাড়বে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজস্ব আহরণকারী সংস্থা এনবিআরের লোকজনের মন মানসিকতায় পরিবর্তন হয়েছে।

একইসঙ্গে আইনেও জটিলতা কমানো হয়েছে। তাই বেশি সংখ্যক মানুষ আয়কর দিচ্ছে। এ খাত থেকেই রাজস্ব বাড়বে।

মন্ত্রী বলেন, লিস্টেড ননলিস্টেড কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা হবে প্রায় ১৫ লাখ। কিন্তু সেটা ইতোমধ্যে ৩৩ লাখ ছাড়িয়েছে।

এটা আগামীর জন্য খুব আশা জাগানিয়া বিষয়। আরও ভালো দিক হচ্ছে যে, নতুন করদাতাদের অধিকাংশই ইয়াং পিপল।

ভ্যাটের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১২ ভ্যাট আইন অনুযায়ী আমাদের কমিন্টমেন্ট ছিল ভ্যাটের স্তর একটি করা। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি।

তবে আমরা আগামী বাজেটে ভ্যাটের স্তর ৯টি থেকে কমিয়ে ৫টিতে নামিয়ে আনবো। তবে আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে তিন স্তরে নামিয়ে আনা। ভ্যাটের সর্বোচ্চ হারটা ১৫ শতাংশই থাকবে। নিচেরগুলো পরিবর্তন করা হবে।

তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয় সব থেকে বেশি হয় ভ্যাটের মাধ্যমে। আগামী বছরে তাই থাকবে আর দ্বিতীয় অবস্থানে আয়করকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন- রোজা পালনে বয়স্কদের জন্য ৬ টিপস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ