মুজাহিদুল ইসলাম: অধিকৃত কুদসে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর ও নাকবার স্বরণে গ্রেট মার্চ রিটার্ন পদযাত্রাতে দখলদার সেনাদের গুলিতে ৬৫ জন শহীদ হওয়ার পর ফিলিস্তিনীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। কিন্ত এ সবকিছু গাজা, পশ্চিম তীর ও বায়তুল মুকাদ্দাসের বাসিন্দাদের রমজান পালনে কোনো বাধা হতে পারেনি।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডের এক ব্যবসায়ী কুদস নেটওয়ার্ককে বলেন, এ রমজানে আমাদের চাওয়া আল্লাহর ক্ষমা, ফিলিস্তিনীদের ঐক্য ও শহীদদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা।
গাজার অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সমস্যার অনুযোগ আল্লহর কাছেই করবো’।
এক দশকের বেশি সময় হতে থাকা গাজা-অবরোধ নিয়ে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নীরবতায় ভর্ৎসনা করে তিনি আরো বলেন, ‘পুরা দুনিয়া আমাদের দেখে হাসে।’
গাজা সীমান্তে দখলদারদের গুলিতে অসংখ্য শহীদকে বিদায় জানানোর পর বিষাদের ছায়ায় ছেয়ে যায় ফিলিস্তিনের আকাশ।
অবরোধ ও দারিদ্রতার কারণে তুর্কি ত্রান সংস্থা গাজার দরিদ্র পরিবারগুলোর মাঝে ছয় হাজার ছয় শত পঞ্চাশ প্যাকেট খাবার মানুষের মাঝে বিতরণ করছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি পরিসংখ্যক বিভাগের মতে ২০১৭ সালে গাজা অর্ধেকের বেশি ৫৩ ভাগ মানুষ দারিদ্রের মধ্যে ছিল। অন্যদিকে জাতিসংঘ জানায়, গত বছর গাজার ৮০ ভাগ মানুষ জরুরি সাহায্য গ্রহণ করেছে।
গাজায় দখলদারদের গণহত্যায় ৬৫ জনের শাহাদাতের চাপা ক্ষোভ ও মনোকষ্ট নিয়ে অধিকৃত কুদসের হাজার হাজার বাসিন্দা বায়তুল মুকাদ্দাসে তারাবির নামাজ আদায় করে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। দোকানদাররা ইফতারির জন্য বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছে।
ফিলিস্তিনের পরিবারগুলো প্রতিবেশীদের মাঝে মপারস্পারিক ইফতারি বিনিময় করে; গৃহকত্রীরা সুস্বাদু রোজাদারদাদের ইফতারি করাবার জন্য নানা আয়োজনে ব্যস্ত।
ফিলিস্তিনের জনগণের এ কঠিন মুহুর্তের কথা বিবেচনায় নিয়ে ও পারস্পারিক সহানুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আববাস সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ হতে জমকালো ইফতারির আয়োজন বাতিল করে সকলকে প্রয়োজনগ্রস্তদের পাশা দাঁড়াবার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
আলজাজিরা থেকে মুজাহিদুল ইসলামের অনুবাদ
-আরআর