আওয়ার ইসলাম: বিশ্বকাপ ফুটবলের সাথে যুক্ত হয়েছে আফগানিস্তানের সাথে টাইগারদের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সবাই যখন খেলা নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই মোড় ঘুরে গেছে অন্যদিকে।
সেটিও আবার দেশের দুই ক্রিকেট তারকার দিকে। গতকাল মঙ্গলবার একনেকের সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছিলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে মাশরাফি আর সাকিব।
তাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। তাদেরকে সবাই ভোট দেবেন। মন্ত্রীর এমন কথায় চা দোকান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও সরগরম হয়ে উঠে। কেউ পক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন তো আবার কেউবা যুক্তি দিচ্ছেন বিপক্ষে।
অবস্থার বেগতিক দেখে সেদিন সন্ধ্যায় আ হ ম মোস্তফা কামাল আবার বলেন, ওরা নির্বাচন করবে কী করবে না সেটা আমি বলার কে?
এ নিয়ে যদিও মাশরাফি, সাকিবের কেউই তাদের মতামত জানাননি এখনও।মাশরাফি আর সাকিবের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও এই ব্যাপারে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত সফর নিয়ে বুধবার বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন।
মাশরাফি-সাকিবদের মতো তারকারা রাজনীতিতে এলে তৃণমূলে নেতৃত্ব দেয়া রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে অংশ নিতে বাধাগ্রস্ত হবে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তো নতুন কিছু না। পৃথিবীর সব দেশেই তারকারা মনোনয়ন পেয়ে থাকেন।
এখন কারও যদি আকাঙ্ক্ষা থাকে নিশ্চয়ই বিবেচনা করা হবে। তারা খেলাটাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে এসে আমাদের দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। পৃথিবীর সব দেশেই এটা দেখা যায়।
তার মানে এই নয় যে তৃণমূলের নেতারা মনোনয়ন পাবে না। আমরা সবাই তৃণমূল থেকে এসেছি। স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছি। আমরা সেলিব্রেটি হয়ে আসিনি। কাজেই আমরা তো আছিই। লোকজনের ভালোবাসায় আমরা সিক্ত হবো।
আরো পড়ুন- রমজানে রোগীদের রোজা