মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


চট্টগ্রামে টেরিবাজারে অভিযান, ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম পাইকারি কাপড়ের টেরিবাজারে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা, র‌্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বিত দলকে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বাধা পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। এর প্রতিবাদে টেরিবাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। তবে পরে অভিযান দল ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জানা যায়, রমজানে খাবার ও পণ্যেল মান ঠিক রাখা, পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য ও চোরাই পণ্য রোধসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এরই ধারবাহিকতায় গতকাল দুপুুরে টেরিবাজারে অভিযান পরিচালনা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের যৌথ দল। অভিযানদল টেরিবাজারের ‘মনেরেখ’, ‘স্টারপ্লাস’ ও ‘মেগামার্ট’ নামের তিনটি বড় শপিংমলে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পোশাক জব্দ করে।

এ সময় ‘মনেরেখ’ থেকে পোশাক জব্দ করার পর ওই দোকানের মালিক এর প্রতিবাদ করেন। তার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাইকে বাজারের সব দোকান বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় কয়েকশ’ দোকানের মালিক-কর্মচারীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটার পাশাপাশি ফাঁকা গুলি ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বাজারে অভিযান চালালে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাছাড়া অভিযানে আমরা সবসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করে থাকি। কিন্তু গতকাল আগে থেকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করেই অভিযান শুরু হয়।

পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’ তিনি বলেন, ‘পুরো টেরিবাজার ঘিরে অভিযানের নামে ঈদের বেচাকেনায় বিঘœ সৃষ্টি করার প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরও অনেক দামি দামি শাড়ি-কাপড় জব্দ করা হয়েছে।’

অভিযানে অংশ নেওয়া র‌্যাব-৭ এর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আশেকুর রহমান বলেন, ‘অভিযানে কয়েকটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই ভারতীয় পোশাক জব্দ করা হয়েছে।

কিন্তু ব্যবসায়ী সমিতির মাইকে ঘোষণা দিয়ে অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোস্ট গার্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ