আওয়ার ইসলাম: অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন (৪০ দিনের কর্মসৃজন) প্রকল্পের অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেছেন যশোরের চৌগাছার সুখপুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়া।
মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের মধ্যে চৌগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু জাফর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জগদিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান খানের উদ্দ্যেশ্য করে এসব কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ১টার সময় উপজেলা পরিষদে পেশাগত কাজে যান সাংবাদিক আবু জাফর। তিনি পরিষদের উত্তর গেটে দাঁড়িয়ে তার বন্ধু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জগদিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান খানের সাথে কথা বলছিলেন।
এসময় হঠাৎই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষ থেকে বেরিয়ে তবিবর রহমান খানকে উদ্দ্যেশ্য করে তোতা মিয়া বলতে থাকেন সাংবাদিকদের সাথে কিসের কথা? এর জবাবে তবিবর রহমান খান বলেন আপনি গিয়ে বসেন আমি একটু কথা বলে আসছি।
তখন তোতা মিয়া বলেন, ‘‘প্রেসক্লাবের তিন টাকার সাংবাদিক গুনার টাইম নেই। ওরা যত পারে লিখুক। তিন টাকায় কেনা যায় যেসব সাংবাদিক তাদের সাথে কোন কথার দরকার নেই। প্রেসক্লাবে কেমন সাংবাদিক আছে ওসব আমরা জানি।’’
প্রসঙ্গত চৌগাছায় চলমান কর্মসৃজন প্রকল্পে চৌগাছা উপজেলার প্রায় দুই কোটি টাকা হরিলুট হচ্ছে বলে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রকল্পে সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নে প্রায় চারশ’ শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কোথাও কোন কাজ করানো হচ্ছে না।
কাজ না করেই সমুদয় টাকা তুলে নেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। গত ১৯ মে চৌগাছার ৭ ইউপি চেয়ারম্যান প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে আহব্বান জানান ফের তাদের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে সরেজমিন সংবাদ প্রকাশ করার জন্য।
তাদের আহব্বানে সাড়া দিয়ে আবারো সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে কর্মসৃজন প্রকল্পের লেবার পেমেন্ট আটকে দেয় মন্ত্রণালয়। কাজের পরিমাপ পূর্বক তদন্ত শেষ না করে কর্মসৃজনের কোন বিল যেন চেয়ারম্যানদের অনুকুলে ছাড় না করা হয় এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এতেই সাংবাদিকদের উপর মহাক্ষিপ্ত হন সুখপুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোতা মিয়া।
চৌগাছা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু জাফর ও জগদিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান খান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলা রিপোর্টকে এ কথা জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন- কাজা রোজা রাখার পদ্ধতি