ওমর ফাইয়ায
কাঠুয়ার রাশানা গ্রাম থেকে পাহাড়ি পথ ধরে প্রায় ৮ কিলোমিটার হেঁটে একটি বিশাল ফসলের মাঠ। সেই মাঠের এক কোণে ছোট্ট একটি কবর। কবরটি আফিফার; জানুয়ারি মাসে ধর্ষিত ও নিহত আট বছর বয়সী মেয়েটির।
মেয়েটির পাঁচ ফুট দৈর্ঘের কবরটির কাছেই তার কয়েকজন দূর সম্পর্কীয় আত্মীয়ের কবর। আফিফার কবরটি এখনও পাকা করা হয় নি। কবরের দুই পাশে দু’টি বড় বৃত্তাকার পাথর। এই পাথর দু’টিই এখন শিশু আফিফার শেষ পার্থিব চিহ্ন।
জমির মালিক আফিফার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় বললেন, ‘আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরা কবরটিকে এখনই পাকা করতে পারি না। শিশুটির বাবা মা যখন বার্ষিক ভ্রমণ শেষে গুবাদি পশু নিয়ে পাহাড়ে ফিরে আসবেন, তখন কবর পাকা করা হবে।
গত ১৭ই জানুয়ারী যখন আফিফার ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়, তখন আফিফার পালক বাবা -যিনি শিশুকালে তাকে দত্তক নিয়েছিলেন- চেয়েছিলেন আফিফাকে রাশান গ্রামেরই একটি স্থানে সমাহিত করবেন; যেখানে এক দশক আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনার প্রাণ হারানো তার তিন সন্তান ও তাদের মায়ের কবর।
কিন্তু রাশান গ্রামবাসীরা আফিফাকে কবর দিতে দেয় নি। তারা বলেছিলো, সেই জমিটি বাকরাওয়াল মুসলিম উপজাতিদের নয়, তাই একটি বাকরাওয়াল মেয়েকে সেই জমিতে কবর দেওয়া যাবে না।
আফিফার নানী বলেন, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আমরা কবর প্রায় অর্ধেক খুড়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু গ্রামের হিন্দুরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আমাদের কবর খুড়তে বাধা দিলো। তারা বললো, এই জমি আমাদের নয়। তাই আমরা আমাদের মেয়েকে এই জমিতে কবর দিতে পারবো না।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এফএফ