ইশতিয়াক সিদ্দিকী
হাটহাজারী প্রতিনিধি
শহর-বন্দর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত নুরানি মাদরাসাগুলো কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। ভূমিকা রাখছে সুশিক্ষিত ও আদর্শবান জাতি গঠনে। নুরানি মাদরাসায় পড়ে সমাজের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরাই দীন শিখছ। ঠিক করছে নিজেদের ঈমান-আমল।
গতকাল শনিবার ‘নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশে’র অধীনে দেশব্যাপী পরিচালিত নুরানি মাদরাসামূহের ২০১৭ সালের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এপ্লাস প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সংর্বধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ছিল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বোর্ডের চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নুরানি মাদরাসার কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের থেকে অনেকাংশে এগিয়ে। বর্তমান সময়ের বাংলাদেশে নুরানি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও বড় হয়ে খ্যাতিমান আলেম, ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক- লেখক, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ নানান পেশায় সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তাই একটি সুন্দর ও স্বনির্ভর দেশ গঠনে নুরানি মাদরাসাগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নুরানি মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকদের দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের স্বীয় সন্তানের মতো স্নেহ-মমতা দিয়ে শিক্ষা দিবেন। তবেই আপনি প্রকৃত শিক্ষক হিসেবে গন্য হবেন এবং প্রিয় নবি করিম সা. ঘোষিত সর্বোত্তম ব্যক্তির সম্মান পাবেন।
শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সম্পৃক্ততায় পরিচালিত নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে এ পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়।
বোর্ডের মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারী সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি জসিমুদ্দীন সাহেবের সভাপতিত্বে বোর্ডের প্রশিক্ষক ও কর্মকর্তা মাওলানা আবুল হাশেম ও সিনিয়র প্রশিক্ষক মাওলানা সলিমুল্লাহ খান এর সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সহসভাপতি ও মেখল হামিউসসুন্নাহ মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা নোমান ফয়জি।
এছাড়া ছিলেন বোর্ডের পুস্তক সম্পাদক ও এশায়াতুসসুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মুফতি মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলীপুর নূরানী মাদরাসার পরিচালক মাওলানা জমির উদ্দীন, বোর্ডের প্রধান হিসাব নিরিক্ষক ও নাজিরহাট বড় মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা সেলিমুল্লাহ , বোর্ডের আমেলার সদস্য ও ফতেপুর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
২০১৭ সালের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৮.০১% উত্তীর্ণ হয়। তাদের মধ্যে তিন হাজার পরীক্ষার্থী এ-প্লাস পেয়েছে। নুরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ প্রতিবারের মতো এবারও তিন হাজার এ-প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করেছে।
এসএস
আরো পড়ুন : এবার ইসলামিক পণ্য মানুষের ঘরে পৌঁছাবে কলরবের শিল্পীরা