আবদুল্লাহ তামিম: অতীত দিকে তাকিয়ে আছে আজ বিশ্ব। জর্জ বুশের মতোই কি একই ভুল করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর শনিবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘মিশন একমপ্লিশড, আমরা জিতেছি।’
এর আগে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের প্রাক্কালে ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ বলে ঘোষণা করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। কিন্তু ‘মিশন’ শেষ হওয়ার আট বছর পর ২০১১ সালে ইরাক থেকে সেনাবাহিনী সরাতে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের এ টুইট নিয়েও তাই চলছে বিস্তর সমালোচনা। কেউ বলছেন, একটা জায়গাকে ধ্বংস করে দেয়ার পর ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ কথাটা শুনতে কিন্তু ভালো লাগলো না। কেউবা বলছেন ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলে সেটা কিন্তু প্রহসন হয়ে দাঁড়ায়।’
তবে সমালোচনা সত্ত্বেও এ বিষয়ে মার্কিন মুখপাত্র নিক্কি হ্যালি জানিয়েছেন, সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকার যদি সাধারণ মানুষজনের উপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ বন্ধ না করে, তবে ফের হামলা চালানো হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য দুমা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছেন আসাদের সরকার। আসাদকে শিক্ষা দিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এক যোগে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ব্রিটেন ও ফ্রান্স। এই হামলার তীব্র নিন্দা করে রাশিয়া।
আসাদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের কোনো প্রমাণ নেই বলে দাবি করে রাশিয়ার হুমকি, মার্কিন জোটের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানো হবে। ভুল ধরিয়ে দিয়ে অনেকেই বলছেন, গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুদের অভিযোগে ইরাকে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন বুশ।
কিন্তু পরে প্রমাণ হয়েছিল যে, তাদের হাতে সে রকম কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল না। অনেকেই বলছেন, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে ট্রাম্পও একই ভুল করে ফেললেন না তো?
সূত্র: বিবিসি