আবদুল্লাহ তামিম: সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাতারের ঘাঁটি ব্যবহৃত হওয়ার ঘটনাকে দোহার জন্য ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছে দামেস্ক। এজন্য কাতারের আমিরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়া সরকার।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা- সানাকে বলেছেন, সিরিয়ায় হামলা চালানো পশ্চিমা জঙ্গিবিমানগুলো কাতারের ‘আল-উদেইদ’ বিমানঘাঁটি থেকে আকাশে উড্ডয়ন করেছে। শনিবার ভোররাতের পর এ হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।
সিরিয়ার সূত্রটি বলেছে, কাতারের এই লজ্জাজনক অবস্থানে দামেস্ক মোটেও বিস্মিত হয়নি। কারণ, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে কাতার বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া, এসব জঙ্গি গোষ্ঠীকে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সব রকম সহযোগিতা দিয়েছে দোহা।
আল-উদেইদ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সেনাঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ ঘাঁটিতে ব্রিটেনসহ আরো কিছু দেশের সেনাও মোতায়েন রয়েছে। আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাকে সামরিক অভিযান পরিচালনার কাজে আমেরিকা আল-উদেইদ সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী দুমা শহরে দেশটির সেনাবাহিনী গত ৭ এপ্রিল রাসায়নিক হামলা করেছিল বলে দাবি করে পশ্চিমা শক্তিগুলো। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ভোররতে সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক অবস্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালায় আমেরিকা, ফ্রান্স ও ব্রিটেন।
সিরিয়া সরকার দুমায় রাসায়নিক হামলা চালানোর দাবিকে ‘রাসায়নিক মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করে বলেছে, পূর্ব গৌতায় সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে রাসায়নিক হামলার কল্পকাহিনী প্রচার করেছে সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক পশ্চিমা সরকারগুলো।
এ ছাড়া, রাশিয়া বলেছে, সিরিয়ার দুমা শহরে রাসায়নিক হামলা চালানোর কোনো প্রমাণ মস্কোর কাছে নেই। ওই কথিত ঘটনাকে পুঁজি করে সিরিয়ায় সামরিক আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে আমেরিকাসহ ইউরোপীয় দেশগুলোকে সতর্ক করেছিল রাশিয়া। পার্সটুডে
আরো পড়ুন- সিরিয়ায় একযোগে পশ্চিমা জোটের বিমান হামলা