আওয়ার ইসলাম: জম্মু-কাশ্মিরে ইস্তফা দেয়া দু’জন বিজেপি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় বিচার করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে সিপিআই(এম)-এর পলিটব্যুরো।
গতকাল শনিবার সি পি আই (এম) বলেছে, কেবলমাত্র পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অপরাধের বিচার হওয়া প্রয়োজন। রাজ্য সরকারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। যে আইনজীবীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে বাধা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে দলটি।
জম্মু-কাশ্মিরের কঠুয়ায় এক শিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্তদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগে পিডিপি ও অন্য বিরোধীদের চাপের মুখে বিজেপি’র দু’জন মন্ত্রী লাল সিং ও চান্দের প্রকাশ গঙ্গা গতকাল পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যে বর্তমানে পিডিপি ও বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।
সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো কঠুয়া ইস্যুতে বলেছে, ‘এটি হত্যা ও ধর্ষণের ভয়ংকর ঘটনা। শিশুটিকে আটকে রেখে তাকে নিস্তেজ করে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। ধৃত অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরের দু’জন মন্ত্রী জঘন্য অপরাধীদের আড়াল করতে ধর্মীয় মোড়ক দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বি জে পি’র ওই দুই মন্ত্রীর ভূমিকা আমাদের স্তম্ভিত করছে!’
কঠুয়ার রসনায় অপহরণ করে একটি মন্দিরে ৭ দিন ধরে গণধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ৮ বছরের শিশু আসিফাকে। পরে একটি জঙ্গল থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়। ভয়াবহ ওই ঘটনায় অপরাধীদের আড়াল করতে ‘হিন্দু একতা মঞ্চ’-র নামে মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্যের দু’জন বি জে পি মন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করে ওই মামলার দ্রুত শুনানি ও অপরাধীদের চূড়ান্ত শাস্তির দাবিতে জম্মু-কাশ্মির হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রামলিঙ্গম সুধাকরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে, জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে কাশ্মিরের ওই শিশুহত্যাকে ভয়ঙ্কর ঘটনা বলে মন্তব্য করা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, আমরা আশা করব প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এভাবে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবের বিবৃতি প্রকাশ্যে আসায় ভারত ওই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এইচজে