নিহার মামদুহ : আগামীকাল ১৫ এপ্রিল ‘ধর্ম বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ শ্লোগানে ভারতের পাটনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্মরণকালের বৃহৎ মুসলিম সমাবেশ। ভারতের ইমারতে শরিয়াহ ও মুসলিম পার্সনাল ল’ বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধি ময়দানে আগামীকাল বাদ যোহর সমাবেশ শুরু হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উরিষ্যা ও পশ্চিম বঙ্গের ৫ লাখ মুসলিম এ প্রতিবাদ সমাবেশে যোগদান করবে।
সমাবেশে অন্যতম সংগঠক ইমারতে শরিয়াহ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আনিসুর রহমান কাসেমি বলেন, দুর্নীতি বাড়ছে, কর্মসংস্থান দুরুহ হয়ে উঠছে, নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে, ধর্মের নামে একে অন্যের উপর হামলা করছে। এমন পরিস্থিতিতে এ সমাবেশ দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।
সাথে সাথে তিনি এ সমাবেশকে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক দাবি করে বলেন, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে এখানে দাওয়াত দেয়া হয় নি।
ইমারতে শরিয়াহ-এর প্রধান মাওলানা ওয়ালি রাহমানি বলেন, আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি। মোদি সরকার হয়তো নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার প্রদানে আন্তরিক হবে। কিন্তু এখনও তারা সতর্ক হয় নি। তার হাতে না দেশ নিরাপদ, না মুসলিম জনগোষ্ঠি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যদি তুমি সতর্ক না হও। খুব বেশি সময় তোমার হাতে নেই। ’
মাওলানা ওয়ালি রাহমানি দাবি করেন, মোদি সরকার কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী আরএসএস এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এজন্য তিন তালাক ও আজান নিষিদ্ধ করেছে। আজ দেশে ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
উল্লেখ্য, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উরিষ্যার মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় ১৯২১ সালে ইমারতে শরিয়াহ গঠিত হয়। ভারতের স্বাধীনতার পর এই প্রথম ভারতের মুসলিম অস্তিত্ব বিপন্ন বলে ঘোষণা করলো মুসলিম নেতারা। ফলে আগামীকালের সমাবেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএল