আবদুল্লাহ তামিম: প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হবে কিনা এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন।
সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র আক্রমণের জের হিসেবে সিরিয়ায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হবে কিনা এ জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, সামরিক হামলা চালানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, কিন্তু রাসায়নিক হামলার জন্য রাশিয়া ও সিরিয়াকে দায়ী বলে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন।
হোয়াইট হাউজ বলেছে যে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যে কথিত রাসায়নিক আক্রমণের সর্বসাম্প্রতিক অভিযোগ উঠছে তার জবাবে একটা সম্ভাবনা রয়েছে যে ট্রাম্প সিরিয়ায় ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত হানার কথা বিবেচনা করছেন। শনিবার রাজধানী দামেস্কের অদূরে ঘোতার পুর্বাঞ্চলে দোমা শহরে ঐ আক্রমণে বহু লোক প্রাণ হারিয়েছে কিংবা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ আজ বলেন যে এ ব্যাপারে ফ্রান্সের কাছে প্রমাণ আছে যে সিরীয় নেতা বাশার আল আসাদের সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন ফ্রান্স তার সুবিধামতো সময়ে এর পাল্টা জবাব দেবে।
জার্মান চান্সালার আঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন যে তিনি এ রকম বার্তা পাঠানোটা সমর্থন করেন যে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে তাঁর দেশ কোন রকম সামরিক অভিযানে অংশ নেবে না।
ওয়াশিংটনে কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের নের্তৃত্বে আগামি কয়েকদিনের মধ্যেই পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন- ইসলামি খেলাফতের পতনে যে ধ্বংসলীলা দেখতে হয়েছে